আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের(ঢাকা) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস মাসুদা আক্তার খানম সম্পর্কে অভিযোগ:

যখন যা ইচ্ছা

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের(ঢাকা) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস মাসুদা আক্তার খানম সম্পর্কে অভিযোগ: ১। ৩য় বিভাগ থাকা সত্বেও উপাধাক্ষ্য/ ও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে থাকা । ২। জিবির সিদ্ধান্ত সত্বেও নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করা। ৩।

কিছু শিক্ষকদের সাথে পক্ষপাতমূলক আচরন করা ও তার পক্ষের কিছু শিক্ষকদের ( জনাব ওয়ালিউল্লা, জনাব হুমায়ুন কবির , জনাব আব্দুর রব, জনাব লিয়াকত, জনাব পাল, জনাব সুফী, লিয়াকত, জগলুল পাশা, কামরুজ্জামান, রকিবুজ্জামান প্রমুখ) পরামর্শক্রমে ক্ষমতা বহির্ভূত বিভিন্ন অবৈধ সিদ্ধান্ত নেয়া। ৪। নিজ পক্ষের শিক্ষকদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ( যেমন সম্প্রতি গনিত বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে জনাব ফিরোজকে সরিয়ে নিজ পক্ষের হুমায়ুন কবিরকে নিয়োগদান। একাউন্টিং এর বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে শাহীন আব্দুল্লার পরিবর্তে পক্ষের জোতিশ পালকে নিয়োগদান করেন। এই কারনে কিছুদিন পূর্বেও কলেজে ছাত্র-কর্মচারী ও শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।

পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রন আনতে মাসুদা আক্তার খানম কলেজে পুলিশ আনতে বাধ্য হন। র। ব ও মোহাম্মদপুর থানার পুলিশের সহোযগিতায় দীর্ঘক্ষন বিবাদমান দুই শিক্ষকপক্ষের মাঝে আলোচনার পর ঘটনার আপাত মিমাংসা হয়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখিও হয়। এমনকি আজকেও(১১ জুন ২০০৮) তিনি গার্হস্হ বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান মিসেস সাঈদা খাতুনের পরিবর্তে জুনিয়র হওয়া সত্বেও মিসেস খালেদাকে নিয়োগদান করেন।

পাশাপাশি তিনি কর্মচারীদের সাথেও অন্যায় আচরন করছেন। বিপক্ষ দলের সমাজকল্যান বিভাগের খন্কালীন শিক্ষক হিসেবে পরিচিত জনাব দুলালকে অন্যায় ভাবে জিবির অনুমতি ব্যাতিরেকে গত কয়েকমাস ধরে জোরপূর্বক বেতন বনদ্ধ, হাজিরা খাতায় সই করতে না দেয়া, ক্লাস নিতে না দেয়া সহ নানাবিধ চাপের ওপর রেখেছেন। এবং বিগত অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম শরীফুল ইসলামের সময় জিবির সিদ্ধান্তক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত খন্ডকালীন অনেক শিক্ষকের বেতন কোন কারন ছাড়াই তাদেরকে অবহিত না করে বেতন স্হগিত করে রেখেছেন। বলাইবাহুল্য যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস মাসুদা আক্তার খানম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম শরীফুল ইসলাম এর দেশের শিক্ষক কর্মচারীদের বিপক্ষ দল হিসেবে বিবেচনা করে বিশেষত তাদেরকেই বিভিন্নভাবে চাপের ওপর রেখেছেন। ধারনা করা হয় যে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস মাসুদা আক্তার খানম আর তিন মাস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।

এর মাঝেই তিনি চেষ্টা করছেন যে তার পক্ষের শিক্ষকদের ( জনাব ওয়ালিউল্লা, হুমায়ুন কবির , আব্দুর রব, লিয়াকত, জগলুল পাশা, কামরুজ্জামান, রকিবুজ্জামান প্রমুখ) কলেজের গুরূত্বপুর্ন পদে (পরীক্ষা কমিটি, অডিট) নিয়োগ দিয়ে যেতে যাতে করে তার দ্বারা কৃত অন্যায় কার্যাবলী সহজেই ধামাচাপা দেয়া যায়। ৫। সবচেয়ে নোংরা ব্যাপার হোল তিনি ক্রমাগত চেষ্টা করছেন যে তার এতদিনের সহকর্মী প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম শরীফুল ইসলামের সব স্মৃতি মুছে ফেলতে। এ হিসেবে তিনি কলেজ হতে তার যাবতীয় ছবি সরিেছেন। এবং রাতের অন্ধকারে শরীফুল ইসলাম অডিটরিয়ামের সাইনবোর্ড তিনি খুলে ফেলেছেন।

এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনা জানতেননা বললেও পুনরায় সাইনবোর্ড লাগানোর কোন উদ্যোগ নেননি। এটা যেন অনেকটা বি.এন.পি আওয়ামীলীগের ছবির রাজনীতির মত। কিন্তু জিয়া বা মুজিবের নাম যদি ছবি খুললেই মোছা যেত তবে তো কোন কথাই ছিল না। প্রসংগত কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম শরীফুল ইসলাম যিনি গত বছরের শেষ দিকে দুই যুগেরো বেশী সময় অধ্যক্ষ হিসাবে থাকার পর অবসর গ্রহন করেন কখনো কলেজ ক্যাম্পাসে কোন ছাত্র রাজনীতি প্রবেশ করতে দেননি শত চাপ থাা সত্বেও এবং সর্বপরি নিজে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্বেও। যদিও তার বিরূদ্ধেও স্বজনপ্রীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ কিছু সংখ্যক শিক্ষক করে থাকেন কিন্তু তা প্রমানসাপেক্ষ ব্যাপার এবং তিনি তার ২৬ বছরের কর্মময় জীবনে কোনদিন কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি অনুমতি দেননি।

আর এতবছর দ্বায়িত্ব পালনে যে কেউই এধরনের ভুল(স্বজনপ্রীতি) করার সম্ভাবনাই বেশী। এতে করে তার জীবনের ওপর অনেক হুমকি আসলেও তিনি তা সাহসের সাথে মোকাবেলা করেন। তার কলজের প্রতি অতুলনীয় দায়িতবের কারনেই আজ মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ একটি মাঠের পাসের ভাংগা দালান থেকে আজ তিনটি বহুতল ভবনে সজ্জিত ঢাকা শহরের একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। কলেজের প্রতি তার এই ভালাসা ও অবদানের কারনে কলেজ গভর্নিংবডি তাকে বিশেষ মর্যাদাপূর্ন প্রফেসর সুপারনিউমারারী (উপদেষ্টা ধরনের)পদে নিয়োগ দেয়। কিন্তু বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাসুদা আক্তার খানম অন্যায়ভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় তাকে তার পদের প্রাপ্য সম্মান থেকে বন্চিত করছেন।

এমনকি বিগত ৪ মাস ধরে কলেজ গভর্নিংবডি দ্বারা ধার্যক্রৃত বেতন ভাতাও গভর্নিংবডির অনুমতি ছাড়া স্হগিত করে রেখেছেন। একজন মানুষ যিনি তার ৪০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ২৬ বছর যে কলেজটিকে তিলে তিলে নিজ সন্তানের মত গড়েছেন তার প্রতি অবসর পরবর্তী এহেন আচরন সম্পূর্ন অন্যায় ও অমানবিক । প্রসংগত জনাব অধ্যাপক এম শরীফুল ইসলাম একজন সুপরিচিত আন্তর্জাতিক শিক্ষক নেতা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিকবার নির্বাচিত সিনেট ও সিন্ডিকেট মেম্বার, প্রাক্তন সদস্য সচিব, জাতীয় শিক্ষা কমিশনৃের সদস্য এবং একজন জনপ্রিয় ত্যাগী শিক্ষক নেতা। উপরোক্ত বিষয় সমূহ কলেজের বিগত জিবির চেয়ারম্যান জাহাংগীরনগর বিশববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি জনাব মুস্তাহিদুর রহমান অবহিত আছেন।

কিন্ত তিনি গত দুমাস আগে হঠাত পরিবর্তন হওয়ায় কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। এমতাবস্হায় নতুন জিবির চেয়ারম্যান নিয়োগ পান পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব। তার কাছে অভিযোগকারীরা কিছু বিষয় অবহিত করেছেন এবং পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস মাসুদা আক্তার খানমের এ সকল ক্ষমতা বহির্ভূত কর্মকান্ডের বিষয়ে অবহিত করার ব্যাপারে তৈরী হচ্ছেন। কিন্ত বিষয়গুলোর যেন দ্রূত নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু সমাধান হয় এ ব্যাপারে তারা অনিশ্চিত। পরিশেষে বর্তমানে কলেজে এখন শিক্ষক রাজনীতি খুব নগ্ন ভাবে ছড়িয়ে পরেছে।

এতে করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় অপর গ্রূপও সক্রিয় ভূমিকায় গেলে কলেজে পুনরায় অস্হির পরিবেশ তৈরী হতে পারে। প্রসংগত একই কারনে কিছুদিন পূর্বে শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি হয় । এর প্রভাব ছাত্রদের ওপরে পরছে। রেগুলার ক্লাস হয়না এবং ছাত্ররা শিক্ষকদের নোংরা রাজনীতিতে জরিয়ে পরছে। এমতাবস্হায় কলেজর একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি সংস্লিষ্ট প্রশাসন পারে নিজেদের ব্যবস্হাপনায় ঘটনার সত্যতা যাচাই করে যতদ্রূত সম্ভব একজন যোগ্য, দক্ষ অধ্যক্ষ (সম্ভব হলে সামরিক লোক)কলেজ গভর্নিংবডির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে কলেজ থেকে গোপন ও প্রকাশ্য শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।

এবং মিসেস মাসুদা আক্তার খানমের অন্যায় ও অবৈধ কর্মকান্ডের জবাবদিহীতা নিশ্চত করা। এ ব্যাপারে ইচ্ছুক যে কেউ পারে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তর সাথে যোগাযোগপূর্বক ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে। কারন আমি অবশ্যই বলব যে তালি কখনো এক হাতে বাজনা। আবার হাতের এক তালুর স্হির অবস্হায় ইচ্ছা না থাকলেও অন্য হাত যোরপূর্বক তালি বাজাতে বধ্য করে। আমার এই লেখার উদ্যেশ্য যদি আমাদের এই ব্লগে সাধারন পাঠক এবং কোন সাংবাদিক, দুদক কর্মকর্তা, বা শিক্ষা মন্ত্রনালয় সংস্লিষ্ট কেউ থাকেন তাদের কলেজটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা।

এবং এ ব্যাপারে তদন্তে আগ্রহী কেউ থাকলে অতিরক্ত তথ্যের জন্য নিম্ন স্বাক্ষরকারীদের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করা যাচ্ছে। অনুরোধক্রমে মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা দেয়া যাবে। জনাব ফিরোজ মিয়া, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ,গনিত বিভাগ জনাব আসাদ, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ,ভূগোল বিভাগ জনাব সুমন, বিভাগীয় প্রধান কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ জনাব শাহীন আব্দুল্লাহ, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ মিসেস সাঈদা খাতুন, প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, গার্হস্হ অর্থনীতি বিভাগ জনাব নজরূল ইসলাম দুলাল প্রভাষক সমাজকল্যান বিভাগ কলেজের ফোনঃ ৯১১০৬১৪; ৯১৩৪৮৪৪ আমার ইমেইল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।