আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাবি’র এসএম হলে মেডিকেল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা



মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের ভেতর পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ধানমণ্ডির বাংলাদেশ মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এহতেশামুল হক জিয়াদ (২২) ওরফে মৃনালকে। শুক্রবার সকালে মোবাইল চোর অপবাদ দিয়ে তাকে গণপিটুনি দিয়ে হলের সাইকেল স্ট্যান্ডে বেঁধে রাখা হয়। খবর পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টায় মৃত্যু হয় এহতেশামুল হক জিয়াদের।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জিয়াদের স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। ছুটে আসেন সহপাঠীরা। তাদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ। জিয়াদের সহপাঠীরা বলেছেন, বিষয়টি রহস্যজনক। মোবাইল চুরি করতে জিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যাবে, একথা বিশ্বাস করা যায় না।

পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এসএম হলের ১৪০ নম্বর কে মোবাইল ফোন চুরি হয়। এর কিছুণ পর হলের সামনে এক যুবককে ধর-ধর বলে ধাওয়া দেয় ছাত্ররা। জগন্নাথ হলের সামনে গিয়ে ছাত্ররা ওই যুবককে ধরে গণপিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ধরে এনে এসএম হলের সাইকেল স্ট্যান্ডে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।

এসময় এহতেশামুল হক তার পরিচয় দেয়। কিন্তু তার কথা কেউ শোনেনি। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এসএম হলের ছাত্ররা। খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে হলে ছুটে আসেন প্রভোস্ট জিএম চৌধুরী। তিনি খবর দেন পুলিশকে।

পরে পুলিশ এসে এহতেশামুল হক জিয়াদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এহতেশামুল হক জিয়াদ ওরফে মৃনালের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসএম হলের ১৪০ নম্বর করে বাসিন্দা ছাত্রদল এসএম হল শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদুল হাসান হিমেল। ঘটনার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তার মোবাইল ফোনটিও রয়েছে বন্ধ। নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট জিএম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অমানবিক। মোবাইল চুরির সঙ্গে সে জড়িত কিনা তা তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে তদš- কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।

রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যš- থানায় মামলা হয়নি। লাশ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিল। রমনা জোনের ডিসি আতিকুর রহমান জানান, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। মামলা দায়েরের পর প্রকৃত দোষীদের তারা খুঁজে বের করবেন। দৈনিক যুগান্তর ৩১ শে মে, ২০০৮ লিংক- Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.