উপরের শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়তো লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন । আমি উপরের ''আইনবিভাগ ও কালক্ষেপণ'' নামের শিরোনামটি দিয়ে আসলে আইনবিভাগের সাথে কালক্ষেপণের যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান তা বোঝানোর চেষ্টা করলাম । আইনবিভাগের সাথে কালক্ষেপণের সম্পর্কের বিষয়টা কয়েকটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যাক ।
২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সকল বিভাগের ক্লাস শুরু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে কিন্তু আইনবিভাগের ক্লাস শুরু মে তে। আইনবিভাগ=কালক্ষেপণ ( প্রমাণিত)
সকল বিভাগের পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয় ৩-৪ মাসের মধ্যে কিন্তু আইনবিভাগ ফলাফল দিতে সময় নেয় ৮-১০ মাস ।
আইনবিভাগ =কালক্ষেপন ( প্রমাণিত)
২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সবাই ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করবে আগামী জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে আর আইনবিভাগের সবাই শেষ করবে জুলাই-আগস্টের মধ্যে । আইনবিভাগ =কালক্ষেপন ( প্রমাণিত)
গত ০১-১২-১১ শ্রম আইন পরীক্ষা ১২টায় হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় ২০ মিনিট পর । আইনবিভাগ =কালক্ষেপন ( প্রমাণিত)
অনেক বই পুস্তকে পেয়েছি সময় চলে গেলে আর ফিরে আসে না , সময়ের মূল্য কোনো কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যায় না । কথাগুলো যে সত্যি তার প্রমাণও বাস্তব জীবনে পেয়েছি । কিন্তু আইনবিভাগ কর্তৃপক্ষের আচরণ দেখে মনে হয় তারা এসব কথা বিশ্বাস করে না , কেউ বিশ্বাস করুক তাও চায় না ।
সময় সম্পর্কে তাদের লিখতে দেওয়া হলে লেখাটি হতো এরকম………… সময় অফুরন্ত, সময় একবার চলে গেলে আগামীকাল আবার আসে তাই চিন্তার কোনো কারণ নাই, সময় অপচয় করলে তেমন কোনো সমস্যা হয়না, আইনবিভাগের ছাত্রছাত্রীদের কাছে সময়ের মূল্য থাকা উচিত নয় ……………………।
শুধু কালক্ষেপন নয় পড়াশোনার পাশাপাশি আইনবিভাগ থেকে নিয়ে যাচ্ছি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, উদাসীনতা এবং চাটুকারিতার মত মহৎ গুণ যেগুলো ধরে রাখতে পারলে জীবনে রাতারাতি বড় হওয়া তো পৃথিবীর সহজতম কাজের একটি । তাই বলছি, হে কালক্ষেপণ বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা তোমাদের আর কিসের চিন্তা ………।
এইচ.এম.মুনতাসির নিজাম
আইনবিভাগ, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।