আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামহোয়্যার পন্ডিতের পাঠশালায় অস্বস্তিতে আছি! (উৎসর্গ অচেনা বাঙালী, আরিফুর রহমান, তামিম ইরফান, শারফুদ্দিন সহ আরো অনেকরে)

কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...

ছোটবেলায় ইংরেজী মিডিয়ামে পড়তে গিয়া একটা অভিজ্ঞতা কইমা গেছে আমার...তা নিয়া ইদানিং খানিকটা দুঃখবোধ তৈরী হয়...ঐসব স্কুলে যতোই দুষ্টামি করতাম তাতে ম্যাম'রা অনেকবেশি বিরক্ত হইতেন না...তারা ধৈর্য্য ধইরা য্যান মন্টেশরি সিস্টেম মাইনা আমাগো বাগে আননের চেষ্টা করতো...ধীরে ধীরে আমাগো দুষ্টামিতে ক্লান্তি আইসা ভর করতো, ভালোবাসায় আর্দ্র হইয়া খানিকটা ভাবাবেগেই মনে হয় আক্রান্ত হইতাম। তখন বুঝি নাই এখন উপলব্ধি করতে পারি সেইসব ম্যাম-টিচারগো ভালোবাসা আর ইন্টারঅ্যাক্টিভ মমতায় আমাগো শ্রদ্ধাস্বরূপ প্রতিদানের চিন্তা মাথায় আসতো বইলা আমরা নিয়মানুগ হওনের চেষ্টা করতাম। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পদ্ধতি নিয়া আমার একটা পুরানা পোস্ট আছে দেখলাম...(যদিও সেইটা রাষ্ট্রীয় পরিসরে)...কিন্তু নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়াই কইতে পারি, শাস্তির দৃষ্টান্তমূলকতা দিয়া আমার জীবনে কোন পরিবর্তন আসে নাই...আসছে সঠিক যোগাযোগে, ভালোবাসা আর মমতা মিশ্রিত উপলব্ধির জোয়ারে...দুষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়া কারো অপরাধের প্রবনতা পাল্টাইয়া গেছে এমন ঘটনা আমার সামনে খুব বেশি নাই...বরং আসছে উপলব্ধিজাত পরিবর্তন...ইতিহাসের নিজাম ডাকাতরাও পাল্টায় প্রকৃতির-প্রাণীজের প্রতি ভালোবাসায়। গুরুতর অপরাধ...মানে মতাদর্শিক বিরোধ থাকলে একজন মানুষরে দলচ্যূত করন যায়...তারে চিরতরে বাইর কইরা দেওনের পদ্ধতিতে অনেকসময়েই আমি ভুল দেখি না...কিন্তু তারে শাস্তির ভয় দেখাইয়া কি মতাদর্শিক পরিবর্তন আশা করতে পারি? আমি তার কোনরম সম্ভাবনা দেখি না মানসচক্ষে...মতাদর্শিক বিরোধরেও পাল্টাইতে চাইলে প্রয়োজন দীর্ঘ তর্কমূলকতা আর তার সম্ভাবনায় যদি প্রতিবন্ধক থাকে তাইলে প্রথম সিদ্ধান্তটাই মানি...গোষ্ঠীচ্যূত করো তারে! আমরা গোষ্ঠীকেন্দ্রীকতায় থাকুম কি থাকুম না সেইটা ভিন্ন তর্ক অবশ্যই...সমাজের অনেকেই গোষ্ঠীর মানসিকতায় থাকতে পছন্দ করে, আমি করি না। সেইটা নিয়াও আমি তর্ক করতে রাজী আছি, তয় আমি গোষ্ঠীকেন্দ্রীকতার যেই অনুভূতি তারে অশ্রদ্ধা করি না। ছোটবেলার যেই অনভিজ্ঞতা তার পূরণের সম্ভাবনা তৈরী হয় এই বার্ধক্যের দরজায় দাঁড়াইয়া থাকনের কালে...সামহোয়্যার ইন'এর নতুন যেই ব্যান সংস্কৃতি চালু হইছে তারে দেখতে দেখতে নিজের প্রাণেও ভয় তৈরী হয়...কখন কি লিখি আর মাস্টারনী বেত হাতে আসেন...হাত পাতো!...যেহেতু এই অভিজ্ঞতা ছোটবেলায় পাই নাই, তাই অপ্রস্তুত হমু নিশ্চিত...দুঃখবোধটা এইখানেই, আমাগো সেই বাচ্চাকালের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কতো আধুনিক ছিলো! আর এই কালের সামহোয়্যার ইন'এর মডারেটর আকা মাস্টারনী তা বুঝেন না! সময় আগাইছে, কিন্তু নীতিবোধের কোন পরিবর্তন হয় নাই! অচেনা বাঙালীর বাঙালীর ইতিহাস কথন আমার পছন্দের, আরিফুর রহমানের নাস্তিক্যবাদী তর্কমূলকতা আমার পছন্দ, তামিম ইরফানের কাব্য আমারে অন্যরম অনুভূতি দ্যায়, শারফুদ্দিন আমার অনেক পরিচিত কিম্বা পছন্দের ব্লগার না হইলেও নির্মল আনন্দ পাইছি মাঝে মাঝে তার কমেন্টে...আজকে তারা নাকি ব্যান...দৃশ্যটা আমার কাছে এইরম হয়...বেঞ্চের উপর নীল ডাউন হইয়া তারা দৃশ্যমান...সামহোয়্যারের মডারেটর বেত হাতে কঠোরমুখে দন্ডায়মান... এই দৃশ্য আমি ভালোবাসি না! মনে হয় অন্যান্য ব্লগারেরাও আমার মতোনই চোখ বন্ধ আছেন, এই দৃশ্য দেখনের অভিজ্ঞতা খুব একটা আনন্দের নয়...মধ্যযূগে ফিরা যাওনের খায়েশ আমার নাই...আর তাই সর্বান্তকরণের চাই মডারেটরগো বোধোদয় হোক! ফিরা আসুক পছন্দের ব্লগাররা...সময়ের কৌশল শিখুক সময়ের টেকি মানুষগুলি...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.