ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
লন্ডনের একটি স্টোরে বেস্ট সেলার ও ট্রাভেল এন্টারটেইনমেন্ট, উভয় র্যাকেই থরে থরে সাজানো সুডোকুর বই
সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় অংকের খেলা সুডোকু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকাগুলো প্রতিদিন সুডোকু নামে নাম্বারের এ খেলা প্রকাশ করে থাকে। বইয়ের দোকানে থরে থরে সাজানো থাকে সুডোকুর বই। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সুডোকুর নিয়মিত চর্চা বাচ্চাদের মেধার বিকাশে সহায়ক হয়। বৃদ্ধদেরও এ ধরনের ব্রেইন এক্সারসাইজ মস্তিস্কের স্মৃতি বিধ্বংসী রোগ অ্যালঝেইমার্স থেকে দূরে রাখে, এবং ব্রেইনকে দীর্ঘদিন কার্যক্ষম রাখে (সুডোকু ছাড়াও অন্যান্য আইকিউ চর্চা করলেও একই উপকার হবে)।
সুডোকু নামটি জাপানিজ হলেও এর উদ্ভাবন কিন্তু জাপানে হয়নি। জানা যায়, ১৮৯২ সালে ফ্রান্সের দৈনিক পত্রিকা Le Siecle প্রথম ডাবল ডিজিটের সুডোকু প্রকাশ করা শুরু করে। ফ্রেঞ্চদের মাঝে সুডোকু জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় ১৮৯৫ সালে অন্য একটি দৈনিক পত্রিকা La France সিঙ্গল ডিজিটের (অর্থাৎ ১-৯ পর্যন্ত সংখ্যার) সুডোকু প্রকাশ করে। ফ্রেঞ্চদের সুডোকু ইতিহাস কিংবা জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণ বিস্তারিত জানা না গেলেও ধারণা করা হয় সুইস গণিতবিদ লিওনহার্ড ইউলারের ১৭৮২ সালে উদ্ভাবিত ল্যাটিন স্কয়ার থেকেই পরবর্তীতে সুডোকুর জন্ম। যদিও ল্যাটিন স্কয়ার সুডোকুর মতো মিনি গ্রিডে ভাগ করা ছিল না।
তবে আধুনিক সুডোকুর মতো না হওয়ায় ফ্রেঞ্চ সুডোকুকে ঠিক সুডোকু বলতে অনেকেই রাজি না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ফ্রান্সের পত্রিকাগুলো সুডোকু প্রকাশ বন্ধ করে দেয়।
সুডোকু খেলার ইলেক্ট্রনিক্স মেশিন
আধুনিক সুডোকুর উদ্ভাবক হাওয়ার্ড গার্নস। ৭৪ বছর বয়সে অবসরপ্রাপ্ত আমেরিকান এ স্থপতি সুডোকুর উদ্ভাবন করেন। তার উদ্ভাবিত সুডোকু প্রথম প্রকাশিত হয় ডেল ম্যাগাজিনে নাম্বার প্লেস নামে।
১৯৮৯ সালে তিনি যখন মারা যান তখনও বিশ্বে সুডোকু নিয়ে এতো হইচই পড়েনি। বেঁচে থাকতে তিনি তেমন কোনো স্বীকৃতিও পাননি।
জাপানে প্রথম সুডোকু প্রকাশিত হয় নিকোলিস্ট পত্রিকায় ১৯৮৪ সালের এপ্রিলে। এ সময় এটি প্রথম সুডোকু নামে প্রকাশিত হয়। সুডোকু জাপানিজ শব্দ।
এর অর্থ মাত্র একবার থাকা নাম্বার। পরবর্তীতে অন্যান্য জাপানিজ পত্রিকাও সুডোকু প্রকাশ করা শুরু করে। জাপানে সুডোকু এতো জনপ্রিয়তা লাভ করে যে অন্যান্য দেশের লোকজন একে জাপানিজ খেলা বলে ভুল করে থাকে।
বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকটি পত্রিকা যেমন নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ইউএসএ টুডে, দি বোস্টন গ্লোব, ওয়াশিংটন পোস্ট, দি এক্সামিনার, সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল, দি গার্ডিয়ান, দি টেলিগ্রাফ প্রতিদিন সুডোকু প্রকাশ করে থাকে।
বাংলাদেশে সুডোকু খুবই অপরিচিত।
সুডোকুর বই বা মেশিন পাওয়া যায়না বললেই চলে। অবশ্য যায়যায়দিন পত্রিকার আইকিউ পাতায় জন্মলগ্ন থেকে সুডোকু প্রকাশ করতে দেখা যায়। যদিও তা পাঠকদের মাঝে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে।
ধূসর হয়ে যাওয়া ১৮৯২ সালের ফ্রেঞ্চ দৈনিক পত্রিকা Le Siecle-এর প্রকাশিত দুই ডিজিটের সুডোকু
উইকিপিডিয়ায় দেখুন....
http://en.wikipedia.org/wiki/Sudoku#History
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।