প্রান্তিক জনগোষ্ঠিগুলোর ভাষা ও জাতিগত অস্তিত্বের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও সমমর্যাদা দাবী করছি
একটি কুকুরের প্রতি
মানুষের বারান্দায় এসে
ঘুমানো কুকুর
আমার সম্মানে গড়া স্মৃতিসৌধটিকে
আজন্ম তোমার নামে লিখে দিয়ে যাবো
দুঃখ করো না।
বলে দাও
আমরা যেদিন জলের কাছে গিয়েছিলাম, জল ছিল ঘুমে। ঘুম ভাঙাতে মায়া হলো বলে স্নান করিনি। আমাদের ওষ্ঠলগ্ন অক্ষরদেরও স্নান দিইনি আমরা। দুঃখটাকে পারলাম না জলাঞ্জলি দিতে।
আমাদের হাতে কে তুলে দিয়েছে এই ত্রিতাপ। আমার শুদ্ধ নই। আমরা তাই কোনকিছু উৎসর্গ করতে অক্ষম এখনো। হে শালপ্রাংশু আকাশ, তোমার পায়ের তলে মরার ভাগ্য নিয়ে জন্মানো এই পোঁকাপিপড়ের জীবন নিয়ে আমরা কী করবো, বলে দাও।
মমতার ছায়া
মমতার ছায়া! তোমার শীতলতায় চাওয়াগুলো জিরোক এবার।
কণ্ঠাবধি ঢেলে দিয়ো বিরহফুলের রং। এ দিনের হাতে আমি দিলাম মঞ্জিলা*। তার তালে ভেসে থাক স্নিগ্ধ নীরবতা।
আকাশে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছো নিরুপায় তুমি হে সংবাদ। হৃদয় কি জানে ওই গোধুলিমিলিত অশ্রুধারার সংবাদ!
আমি আর যাব না উৎসবে, দেখব না ছিন্ন হয়ে থাকা সুন্দরতা।
কিছু নাও, কিছু রেখো আমার জন্যেও। আমি তো ঋণের দায়ে চলা এক নিদানপুরুষ,
মনে নেই কারও কাছে পেয়েছি জীবনভর মায়া।
তৃষ্ণাকে পাঠালো দুরে আজকে সবাই। একটু জিরোক। আবার ফেরা পথে ডেকে নেব পৌঁছানোর দায়।
*মঞ্জিলা: মণিপুরী নৃত্যে ব্যবহৃত বাদ্য বিশেষ
ধনঞ্জয় রাজকুমার আধুনিক বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী কবিতার জনক। জাতি, সংস্কৃতি, অতীত, ও শেকড়কে নিজের বিশাল কাব্যক্ষমতায় ধারন করেছেন। আশির দশক এবং তৎপরবর্তী কবিদের অধিকাংশ অনুসরন করেছেন তার পদাংক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : "হপনর বাবুয়ানি", "ডিগল হাতহানল মোরে", "ভিক্ষা দেনে এর আহিগিতৌ", "হমাজি গাটর পানি", "বিরহী যক্ষর এলা" ইত্যাদি। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় অনুবাদ করেছেন "রুবাইয়াৎ-ই-ওমরখৈয়াম", কালিদাসের "মেঘদুত", জাপানী হাইকু কবিতার সংকলন "মিকুপর চেরীফুল" রবীন্দ্রনাথের কবিতার অনুবাদ "কুরৌ আহান রবীন্দ্রনাথ" এবং বিশ্বের প্রায় ৬০টি ভাষার কবিতার অনুবাদ সংকলন দুই খন্ডের "অনুবাদকল্প"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।