ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৬৪ বছর বয়সে গত বছর ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় এই লেখক। ২৪ জুলাই তাকে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে দাফন করা হয়।
আগামী ১৯ জুলাই প্রয়াতের রুহের মাগফিরাত কামনায় নুহাশপল্লীতে ইফতারের পাশাপাশি কোরআন পাঠ, কবর জিয়ারত ও দোয়ার আয়োজন করা হচ্ছে।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, ওই দিন বাদ জুমা আশপাশের কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্ররা কোরআন পাঠ করবেন। পরে তারা কবর জিয়ারত এবং ইফতার ও দোয়ায় যোগ দেবেন।
হুমায়ূনের স্ত্রী শাওন, ছেলে নিষাদ ও নিনিতসহ পরিবারের সদস্য এবং ভক্ত-বন্ধুরা কবর জিয়ারত ও ইফতারে অংশ নেবেন।
ওই দিন পাঁচ থেকে ছয়শ’ মানুষের ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান সাইফুল।
ইফতারসহ মৃত্যুদিবসের সব আয়োজনের জন্য শাওন এরমধ্যেই নুহাশ পল্লীতে চলে এসেছেন।
ব্যবস্থাপক সাইফুল জানান, হুমায়ূন আহমেদের কবর মার্বেল পাথরে পাকা করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্বামীর কবর জিয়ারত ও বাঁধাইয়ের কাজ তদারকির জন্য বুধবার মধ্যরাতেই নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশ পল্লীতে এসে অবস্থান করছেন শাওন।
প্রথম মৃত্যুদিবসের নানা কর্মসূচির পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
শাওনের বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, হুমায়ূন না থাকায় সংসারের হাল ধরতে হয়েছে শাওনকে। নিষাদ এখন ধানমণ্ডির একটি স্কুলে কেজি- টুতে পড়ে। সংসারের খরচ বেড়ে গেছে।
“তাই বসে না থেকে আর্কিটেক্ট শাওন তার দুই বন্ধুকে নিয়ে গুলশানে একটি ফার্ম খুলেছে।
প্রায় সাত/আট মাস আগে ডট’স লিমিটেড নামের ওই ফার্মের কাজ শুরু হয়েছে। ”
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক হুমায়ূন সাহিত্য জগতে এসে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। লেখালেখির পাশাপাশি নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
২০১১ সালে তার অন্ত্রে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দফা চিকিৎসার পর ১৯ জুলাই মারা যান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।