লেখার মান যাই হউক সব কিন্তু লেখকের নিজস্ব সম্পত্তি
ধূসর দেয়ালের দিকে আনমনে তাকিয়ে আছে একটা ছেলে । দেয়ালে দেখার কিছূ নেই তবু তাকিয়ে রয়েছে সে, আনমনে। দেয়ালে কী ? কিচ্ছূ নেই, বিচিছন্ন শ্যাওলা । আর কিছূ অবারিত পুষ্প । ডালপালা মেলা সৌরভ ছড়ানো পুষ্প ।
শ্যাওলার দিকে সাধারণ দৃষ্টিতে তাকালে কোন পুস্পের দেখা মেলেনা । ধ্যানমগ্ন ঋষির মত তাকাতে হয় । তখন ধীরে ধীরে ছেলেটার মূখ থেকে বিষন্নতা কেটে যায় । ঠোঁটগুলো কাঁপতে থাকে । সেইসময় ডানাহীন কি ডানাময় বুঝা যায়না, এমন একটি পরীর নুপুরের আওয়াজ পাওয়া যায় ।
জমজ পুষ্পের মত মাথা নাড়াতে থাকে একটি শ্যামল বৃক্ষ দেয়ালের উপর।
অথচ·········। অথচ দেয়ালটা কম্পিউটার স্ক্রীন হলে কত ভালো হত! পরীটার সাথে কত কথাইনা হত তার । এই পরী আজ কি দিয়ে ভাত খেয়েছ তুমি? অ, পরীরা ভাত খায় না কি খায় তাওতো জানা নেই ছেলেটার । বোকা ছেলে ব্যাক ডেটেড ছেলে, বিষন্ন ছেলে ।
কম্পিউটারে হয়তো ছেলেটা পরীর জন্য একগুচ্ছ পাগলামির ছন্দ বলবে। মনিটরে পরীটা বলবে, আমিতো টাসকি খাইছিলাম। টাসকি ছেলেটাও খাবে।
পরীদের সাথে হয়তো মানুষের কথা হয়না্ । অথচ ছেলেটার কত কথা হয়।
আকাশের দিকে তাকালে পরী, গাছের দিকে তাকালে পরী। আর দেয়ালেতো আছেই। মনিটরে পরীটাকে ধূসর দেখা যায়। স্পষ্ট দেখা যায়না। ছেলেটি জানে মেয়েটি আর স্পষ্ট হবেনা।
ক্রমশ আরো অস্পষ্ট হবে।
একসময় ধূসর দেয়ালের দিকে তাকালেও মেয়েটিকে আর চোখে পড়বেনা। ছেলেটা তখন ধূসরতা ছাড়া আর কোন স্মৃতি মনে করতে পারবেনা। শূধু ধূসর দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকবে ছেলেটা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।