দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
আমেরিকান সেনাবাহিনীর অন্তত ৩০ শতাংশ কমান্ডারকে গত আট বছরে যৌন কেলেঙ্কারির দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। ধর্ষণ, যৌন হেনস্তা এবং অশোভন আচরণের কারণে এসব সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। বার্তা সংস্থা এপি এ সংবাদ জানায়। আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জেফরি সিনক্লেয়ারকে গত মাসে সমকামিতা, ব্যভিচার ও পর্নোগ্রাফি রাখার দায়ে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তার কোর্ট মার্শাল চলছে।
জেফরির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে এ ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড কেবল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যেই না অধঃস্তনদের মধ্যেও রয়েছে। যৌন অপরাধের সঙ্গে মাদকঘটিত কেলেঙ্কাকারিও মার্কিন সেনাবাহিনীতে অহরহ ঘটছে। ২০০৫ সালের পর থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল কিংবা তার ওপরের কমান্ডারদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে চারজনকে এ ধরনের অপরাধের জন্য চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এপির রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, এক তারকা থেকে শুরু করে চার তারকা পর্যন্ত ১৮ জন জেনারেল ও অ্যাডমিরালকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন যৌন কেলিংকারির জন্য চাকরি হারান।
আর দুজন চাকরি হারিয়েছেন মাদক কেলেংকারির জন্য। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৫৫ জন কমান্ডারকে অপসারণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যৌন কেলেঙ্কারির জন্য ৭৮ জনের চাকরি গেছে। এ হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, যারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৩২ সেনা, ২৫ জন নৌ এবং ১১ জন মেরিন কর্মকর্তা। এ ছাড়া, বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা রয়েছেন ১০ জন।
মদ ও মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় ২৭ জন কমান্ডার চাকরি হারিয়েছেন যাদের মধ্যে ১১ জন নৌ, ৮ জন সেনা, ৫ জন মেরিন এবং ৩ জন বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা রয়েছে। অবশ্য, এপি এ রিপোর্টকে রক্ষণশীল উল্লেখ করে বলেছে, ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমেরিকান সেনা, নৌ ও মেরিন বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল কিংবা কমান্ডারদের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্যের যোগান দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মার্কিন বিমান বাহিনী ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত কর্নেল এবং তার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্পর্কিত তথ্যই কেবল যুগিয়েছে। শুধু তাই নয়, কমান্ডার পর্যায়ে যে সব কর্মকর্তা ছিলেন কেবল তাদের সম্পর্কেই তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রশাসনিকসহ সেনাবাহিনীর অন্য পর্যায় থেকে শত শত কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হলেও তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া, এ সব কর্মকর্তাকে কেন বহিষ্কার করা হয়েছে তাও পরিষ্কারভাবে বলা হয়নি। নৈতিক স্খলন নেতৃত্ব ধরে না রাখা কিংবা খারাপ প্রশাসনিক পরিবেশ তৈরির কারণে তদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে শুধু জানানো হয়।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।