যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো এবং মতিউর রহমান নিজামীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এতে আসামি সাবেক মন্ত্রীরা হলেন, বিএনপির এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম শামসুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম মোশারফ হোসেন, আকবর হোসেন ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী।
আসামিরা "ক্ষমতার অপব্যবহার" করে চট্টগ্রাম বন্দর ও কমলাপুরের কন্টেইনার ডিপো পরিচালনার দায়িত্ব গ্যাটকো হাতে ছেড়ে দেন। এতে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও কোকো ঠিকাদারের কাছ থেকে দুই কোটি ১৯ লাখ টাকারও বেশি আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।
বিষয়টা খুবই সহজ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছেলে শুরু করেছে। তাতে অনুমোদন দিয়েছে অভিযুক্ত মন্ত্রীরা।
যখন একজন এমপি নির্বাচিত হয় তখন সে একবার শপথ নেয়। আবার মন্ত্রী নিযুক্তির পর শপথ নেয় - যাতে তারা বলে রাষ্ট্রের তথা জনগনের জিম্মাদার হবে।
কিন্তু যখন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী আসনে বসে একজন মন্ত্রী জনগনের সাথে বেইমানী করে একটা দূর্নীতিকে জেনেশুনে অনুমোদন করে - তারা কত বড় নিমকহারা।
ঘটনা চক্রে সতলোকের নেতা নিজামী ধরা পড়েছে। এখন ওর সমর্থকরা বলার চেষ্টা করছে - উনি জানতে না! অবাক কথা! একটা দল চালায় - একটা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আর ক্রয় কমিটির সদস্য না জেনে একটা নথিতে স্বাক্ষর করেছেন - এটা যদি সত্য হয় - তাইলে বাংলাদেশের ভোটারদের ভাববার বিষয় আছে এখানে। যেই দলের প্রধান রাষ্ট্রীয় এমন একটা পদে বসে এই ভাবে না বুঝে স্বাক্ষর করে - এদের ভোট দিয়ে ক্ষমতার কাছে নিলে দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাবে।
কিন্তু গ্যাটকো সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশিত বিবরনে যতটুকু জানি - একবার নথি ক্রয় কমিটিতে বাতিল হবার হব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বিশেষ ঘটনার পর নথি ক্রয় কমিটিতে পাশ হয়।
একজন স্বঘোষিত ইসলামের এজেন্ট হিসাবে নিজামীর তখন কি করা উচিত ছিলো। সরাসরি ক্রয় কমিটিতে এর বিরোধীতা করে জেহাদ ঘোষনা করা। পদত্যাগ করে জনগনকে সত্য কথাটা বলা - যার শপথ নিয়ে সে ক্ষমতায় গেছে। আল্লাকে ভয়ের কথা ভেবে নিরবে খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করা।
একজন মুসলমান হিসাবে নিজামীর জানা থাকার কথা জনগনের দেওয়া ভোট তার কাছে আমানত হিসাবে ছিলো - সেই আমানত নিয়ে সে নিজের আর দলের স্বার্থটাকে আগে এনেছে।
এর বিচার কি হবে?
আমরা দেখেছি - ক্ষমতার লোভী এই আলবদর নেতা ভেড়ার দলের মতো একটা দূর্নীতির সুযোগ করে দিয়েছে আর এর সমর্থকরা এখন সব কিছুতে ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছে।
নিলর্জ্জতার কি কোন সীমা রাখবে না জামাতিরা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।