ফেরদৌস ভাই, মানে কবি ফেরদৌস মাহমুদ মানে দৈনিক ডেসটিনির সাহিত্য সম্পাদক খুব ভালো মানুষ। সেই ভালো মানুষটার অন্যতম কাজ হইলো খুব ভালো ভালো কথা বলা। তো আমরা তার বন্ধুরা তার ভালো ভালো এইসব কথা শুনে থাকি আর কি? এমনি একটা ভালো কথা সে বলেছিল একবার নির্মলেন্দু গুণ কে দেখিয়ে। ঐ মুহূর্তে বোধয় আমরা গুণদা সহ যাচ্ছিলাম বাংলাভিশনের দিকে মানে বন্ধু মামুন খানের ডেরায়। তখন আনুমানিক রাত সাড়ে ১১ টা পাড় হয়ে অনেত দূর গড়িয়ে গেছে।
হাঁটহত হাঁটতে একবার আমরা অবাক বিস্ময়ে খেয়াল করলাম, আমাদের চেয়েও অনেক দ্রুত গতিতে গুণ দা হেঁটে যাচ্ছেন এবং তার পিছু পিছু হাঁটতে আমাদের ঘাম বেরিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি বল্লাম, দেখলেন বুড়া বয়েসেও এই লোকটার গায়ে কী ভয়ানক শক্তি, তখন আচমকা আমাদের অবাক করে দিয়ে, জনাব ফেরদৌস মাহমুদ বল্লেন, আরে শক্তি তো থাকবই, উনি তো রামশয়ান কবি।
আমি বল্লাম, মানে?
-মানে বুঝলা না, রাশান কবিরা যেমন হয় আরকি? লম্বায়, স্মার্টনেসে, গায়ের জোড়ে।
ফেরদৌস ভাইয়ের এই কথাটা আমার অনেকদিন খুব ভয়ানক ভাবে মনে ছিল। সেই মনে থাকা থেকেই একটা কবিতা লেখা হয়ে গেল।
তো আমি মনে করি এই কবিতা যতটুকো না আমার তারচেয়েও বেশি, ফেরদৌস মাহমুদের এবং গুণদার। আমি কেবল এর লেখক হিসাবে একজন অভিনেতা মাত্র।
রাশিয়ান কবি
বন্ধুর কথা মতো, একজন রাশিয়ান কবি হতে গিয়ে, আমি
হয়ে গেলাম ডেভিড ব্লেইন, তারপর ১৭ মিনিট, অক্সিজেন ছাড়াই
ডুয়েল লড়লাম, আয়ুর সাথে।
যদিও নগরীর রগচটা শেরিফ, অহেতুক রক্তপাত এড়াতে, খুব
রাঙাচ্ছিল চোখ সর্বদাই। তারপরেও যে সব জাদু দেখিয়ে
আমি তোমাদের তাক লাগিয়ে দিলাম, ওগুলো আসলে আমার দেখানোর কথা ছিলো না? ওগুলো আসলে আমি ঠিকমতো পারতামও না?
আর শোনো, আমি কেবল এ শহরের একজন
ভালো পিয়ানো বাদককে চিনতাম, যে ছিল শহরের দক্ষিনপ্রান্তের
এক আলো হাওয়াময় বাড়ির মালিক।
আর চিনতাম তার বাড়ির পাশের এক
অনুভূতিশীল রেস্তোরার মদ-মাতাল সীমান্ত।
আর শোনো আমার আসলে হবার কথা ছিল
শহরের রক্ত-ক্লান্তিময় কনসার্টে, বিষণ্নতা ফেরী করা,
উন্মাতাল সুরের এক উদভ্রান্ত গায়ক।
অথচ বন্ধুর কথা শোনে, রাশিয়ান কবি হতে গিয়ে
আমি হয়ে গেলাম, ১জন ডেভিড ব্লেইন, ১জন ঘাসফুল,
১জন নাকফুল, অথবা
কখনো কখনো ১জন সিনেমাহলের লাইটম্যান?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।