তারপর যখন আমি বাথরুম থেকে ফিরে এলাম
দেখলাম একটা ইঁদুর মরে পড়ে আছে আমার টেবিলের নিচে
বাসা বদলের পরে কোনদিন ঘরে ইঁদুর চোখে পড়েনি
হঠাৎ মরা ইঁদুর দেখে কিছুটা অবাক হলাম যা স্বাভাবিক
আমি সারারাত খুব অস্থির ছিলাম খুব ভাল ঘুম হয়নি
কারন একটা সাদা হাত আমাকে তাড়িত করছিল
আমি তাকে সাদা হাত না বলে অন্যকিছু বলতাম
কিন্তু সারারাত বিকল্প কোন ভাল শব্দ পাইনি
মায়াময় সে হাত আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেয় মেঘ স্পর্শের মতো
আমি মেঘ স্পর্শ করিনি ঘুম জেগে দেখি কড়ারোদ দিন
মরা ইদুরটা আর তার মৃত্যবিষয়ক জটিলতা নিয়ে আমি অনেকক্ষন ভাবলাম
ইদুরটার মরে যাওয়ার কারন কি তার আয়ু শেষ হয়েছে বলে
একটা সাদাহাত আমার মনছুঁয়ে যায় আমার স্মৃতি ঘুরে ঘুরে
তখন বিকেল বেলা সবাই ফেরাফেরি করছে
শেষ সীমান্তের ও গ্রামের ফাকা মাঠগুলোয় খেলছে শিশু যুবা যুবতি
বৃদ্ধ সংসারী মানুষ গুলো হাটবাজারে যায় আসে
এবার ধান ভাল হবে সবার মুখে এক কথা আনন্দ জানায়
আমিও অনেকদিন পর হাটে গিয়েছি
সেদিন আবার শিশু হয়েছিলাম
শিশুকালে হাটে যাব বলে আমার মার কাছে বায়না ধরতাম
মা পক্ষপাতি ছিলনা
বাবা সাইকেলের পেছনের ক্যারিয়ারে চড়িয়ে আমাকে হাট নিয়ে যেত
দেখা হলো নজিবুল মামুর সঙ্গে পথে সেই মামু...................
ছোট কালে আমাদের বাড়িতে বছরকিয়া থাকত
আমাকে ঘুরি আর দুচাকার গাড়ি বানিয়ে দিত
সে আমাকে শোনাল গল্পটা........
সেইদিন বোবা মেয়েটার কি হলো
পাথর মহাজন তাজুলের ভাই সাবু পাথর খাদের নিচে যখন তাকে টানছিল
সে ভয়ে হোক অথবা ভাললাগা থেকে হোক সুর সুর করে নিচে নেমেছিল
তখন খাদের উপরে তাজুলের ট্রাকটর ড্রাইভার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল
পরের ঘটনা বোবা মেয়েটার পেটে ভ্রুন এল
বড় হতে লাগলো সে বোঝেনা কি হলো তার শরীর ভারী ভারী লাগে
একদিন তার খালা বুঝে গেল ব্যাপারটা
তার খালা সাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করল
সাবু ভাল ছেলে সবাই জানে
এলাকায় সুনাম আছে কলেজে পড়ে
খুব মেধাবী ছাত্র স্কুলে বৃত্তি পেয়েছিল চেহারা নায়কের মতো ব্যাবসাও বুঝে ভাল
সাবু রাতে মারা গেল মোবাইলে অনেকগুলো ডায়াল কল
অল্প বয়স তার মৃত্যুটাকে কেউ বিশ্বাস করছিলনা
ঠোটের কোনে একটু রক্তের রেখা
এখানেই আমার সন্দেহ মামু বলে আমার নজিবুল মামু
যেদিন মারা গেল সাবু সেদিন আমি ভোর বেলা বাড়ি পৌছলাম
তারপর ঢাকা ফিরে শুনি তাজুলের ট্রাক্টর ড্রাইভার কে পুলিশ নিয়েগেছে থানায়
কারন বোবা মেয়েটি চেয়ারম্যানের বিচারলয়ে তাকে দেখিয়ে ইশারা করেছে
ট্রাক্টর ড্রাইভার অস্বীকার করেছে বিধায় সে থানায়
ও দিকে গ্রামের দেউনিয়া দাবী তুলেছে সাবুর লাশ পোষ্টমর্টেম হওয়া উচিত
সেই সূত্রে পুলিশও এসেছিল আর কয়েকজন সাংবাদিক অনেক গভীর রাতে নাকি
তারপর চুপচাপ ট্রাক্টর ড্রাইভার এখন জেলখানায় নাকি
আমি সাবুর লাশ দেখতে গিয়েছিলাম
গোটা লাশ সাদা কাপড়ে ঢাকা
কেমন করে জানি সাবুর ডান হাতটি চাদরের বাইরে অলস পরেছিল
অর্ধমুষ্ঠি সে হাত.............................................................
আজ শুক্রবার ইচ্ছে আছে আগামী শুক্রবার আবার যাব গ্রামে................................
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।