আমি বাংলাদেশী, কোন সমস্যা জহুরুল হক হলের ঘটনাটা কি চোখের আড়ালেই থাকবে?
অনেক ঘটনাই থাকে যা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু ঘটনা আমাদের মধ্যে ভাবালুতা তৈরি করে না, আর কিছু ঘটনার ভাবালুতা তৈরি করার ক্ষমতাই থাকে না।
আমাদের ভার্সিটি লাইফে রেগিং একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়েই দাঁড়িয়েছিলো। ভার্সিটির বাইরের মানুষকে এই রেগিং নামক মানসিক অত্যাচারের কথা বললে তারা বিশ্বাসই করেন না। আবার হলের বড় ভাইদের জানালে তারা এটাকে কিছু মনেই করেন না।
তাদের জবাব, "আমরাও ওরকম ব্যাবহার পেয়ে এসেছি। "
গত কয়েকদিন আগে মাহবুব হাসানের লেখায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেয়ের রেগ খাওয়ার ঘটনাটি পড়লাম। ঘটনাটি দুঃখ জনক। তবে সত্য কথা এই যে ভার্সিটির ফার্সট ইয়ারের ছেলে-মেয়েরা এই রেগিং নামক পশুসুলভ অত্যাচার অহরহই ভোগ করে থাকে।
যে ঘটনাটি বলতে চাচ্ছি, সেটি হয়তো অন্যান্য বারের মতো আমার কাছে স্বাভাবিক বলেই বিবেচিত হতো যদি না মাবুব হাসানের লেখাটি আমি না পড়তাম।
গত রবি বারের ঘটনা বলছি।
জহুরুল হক হল। ঢাকা ইউনিভার্সিটি। রাত ১০ টায় ফার্সট ইয়ারের সব ছেলেকে গেস্ট রুমে ডাকা হয়েছে। গেস্ট রুমে ঢুকার সময় সবাইকে জনপ্রতি সালাম, হ্যান্ডশেক করতে হয়।
তারপর সবাইকে সামনে দাঁড় করিয়ে শুরু হয় অকথ্য মানসিক নির্যাতন। এরই ফাঁকে সদ্য গ্রাম থেকে এসে ঢাবি-তে ভর্তি হওয়া এক ছেলেকে এক বড়ভাই প্রস্ন করলো:
-নাম কী?
ছেলে: (মি। এক্স)
ভাই: সোজা হয়ে দাঁড়াও। দাড়ি কামাও নাই কেন?
ছেলে: ভাইয়া, সময় পাই নি।
ভাই: হাস ক্যান? দাঁত দেখা গেলে চড়ায়া দাঁত ফেলে দিমু।
ভাই ২: এই ছাগল, চোখ নিচে নামা। চোখে চোখে তাকাস ক্যান?
ছেলে: স্যরি ভাইয়া...
ভাইয়া ৩: এই তুইই না হ্যান্ডশেকের সময় হাত ঝাঁকি দিসস? হাত ঝাঁকি দিসস ক্যান?
ছেলে: ...মানে..মানে..
ভাইয়া: এই মাদার চোদ ! কথা কস না ক্যান?
ভাইয়া ২: ..ওই প্যান্ট খোল, ..প্যান্ট খোল.. !
(ছেলেটি প্যান্ট খুললো)
ভাইয়া ২: (আরেক জনকে উদ্দেশ্য করে).. ওই একটা কিরিচ নিয়ে আয়।
বলার সাথে সাথেই এক ছেলে একটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলো। এবং সাথে সাথেই ছেলেটি ফিট হয়ে যায়।
জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
কেউ কেউ ঘটনাটাকে গুজবও বলছেন। কিন্তু জহুরুল হক হলের ঘটনাটি মিথ্যা নয়, এই নিশ্চয়তা আমি ১০০% দিতে পারি।
ঢাবিতে পড়তে এসে ছেলেটির বর্তমান মানসিক অবস্থা একবার আপনাদের কল্পনা করার অনুরোধ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।