রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে
চাল এখন আর কেবল খাদ্য পণ্য নেই। চাল এখন একটি কৌশলগত রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত হয়েছে। অনেক দেশের সরকার টিকে থাকা এখন নির্ভর করছে এই চালের দামের উপর। বাংলাদেশে চাল সরকারের জনপ্রিয়তার প্রধান নির্ধারক।
বোরো আসছে।
বাজারে অল্প কিছু নতুন বোরো আসলেও মূল্য নিয়ন্ত্রণে তা প্রভাব ফেলতে পারবে না। ধারণা করছি বোরো পুরোপুরি বাজারে আসলেও দাম আপাতত তেমন কমছে না। ৩০/৩১ টাকার কমে চাল পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না।
বাংলাদেশে মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ চাল বিক্রেতা আর বাকিরা ক্রেতা। অর্থাৎ দেশের বড় অংশই বাজারের উপর নির্ভরশীল।
এই বাজার নির্ভরশীলতা চালের দাম বেশিই রাখবে।
কেউ যদি ভাবেন যে চাল আবার ২০ টাকায় চলে আসবে তাহলে সেটা হবে বড় ভুল। ২০ টাকা হলে কৃষকরাও মোটামুটি দাম পাবে না এবং তাতে পরবর্তী আমনে প্রভাব পড়বে।
মোট কথা হলো সস্তায় চাল খাবার দিন শেষ। চালের দাম বেশি থাকবে এটা মেনে নিয়েই আমাদের এখন থেকে দিন চালাতে হবে।
সেটা কিভাবে হবে সেটাই এখন ভাববার বিষয়।
৩০ টাকা হবে চালের ন্যুনতম মূল্য। এই দামে চাল কিনে খেতে হলে মজুরী কত বাড়াতে হবে, মানুষের আয় কিভাবে বাড়বে, কর্মসংস্থান কিভাবে বাড়ানো হবে সেটিই এখন ঠিক করতে হবে সরকারকে।
সরকার যদি এখন ভাবে যেন তেন ভাবে চালের দাম কমাতে হবে তাহলে সেটি হবে কৌশলগত ভুল। তাতে সময়ই নষ্ট হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না।
এটা না করে উচ্চ মূল্যের জামানায় দেশের মানুষকে কিভাবে টিকিয়ে রাখা হবে সে কথাই ভাবতে হবে।
সরকার যতদিন তাদের ভাবনাকে এই পথে না নিবে তততিন কোনো কিছুতেই কাজ হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।