৭১ এ ছোট ছিলাম, যুদ্ধে যেতে পারি নাই, এই আক্ষেপ ফুরাবার না
নুরুল ইসলাম বাবুল যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, যুগান্তর পত্রিকার মালিক। গোলাম সারোয়ারকে ভাগিয়ে তার বই সালমা ইসলাম এখন এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
বিএনপি-আওয়ামী আমলে যুগান্তরের অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের একটা বড় কাজ ছিল সুতা নিয়ে রিপোর্ট লেখা। বাবুল তার চেম্বারে ডেকে বলে দিতেন কি কি লিখতে হবে। সেটাই লেখা হতো।
অনেক দিন জেলে থেকে বের হয়েছেন তিনি। আমাদের মিডিয়া কিভাবে চলে আসুন দুইটা উদাহরণ দেই।
১। প্রধান উপদেষ্টা রপ্তানি ট্রফি দিয়েছেন কয়েকদিন আগে। তালিকায় যমুনা গ্রুপ নেই।
বাবুল একদিন দুইজন রিপোর্ট ডেকে বললেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বিরুদ্ধে লিখতে যে, দুর্নীতি করে, টাকা খেয়ে এবার রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়েছে। তখন রিপোর্টার জানালো যে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো পত্রিকায় নাম দেওয়া আহবান জানিয়েছিল এবং যারা আবেদন করেছে তাদের মধ্য থেকেই যাচাই করে দেওয়া হয়েছে। যমুনা গ্রুপ কোনো আবেদন করেনি।
২। ঐ দুই রিপোর্টার বাচলেও ধরা খেলো মামুন হোসেন নামের এক রিপোর্টার।
তার দায়িত্ব ছিল এনবিআর সংক্রান্ত নিউজ করা। বাবুল ডেকে বললো তাদের বন্ড লাইসেন্স নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। লাইসেন্স নানা অভিযোগে আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক করে দিতে হবে। মামুন এই কাজটা করতে পারেনি।
তদ্বিরে কাজ হয়নি। ফলাফল হচ্ছে গত বুধবার মামুনকে টার্মিনেট করা হয়েছে। বেচারা একমাস আগে বিয়ে করেছে। এখন অথৈ সাগরে ।
এই হচ্ছে আমাদের মিডিয়া ও মিডিয়া মালিক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।