আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রথম পরেছি শাড়ি...

‘মনে হয় সেদিনের কথা। কিন্তু মাঝে কত বছর পেরিয়ে গেছে। আমার বড় বোনের বিয়ে ঠিক হলো। বোনের গায়েহলুদে সবাই শাড়ি পরবে। এর আগে আমি কখনো শাড়ি পরিনি।

একমাত্র বোনের বিয়ে, তবু শাড়ি পরতে চাইলাম না। মা তো শেষ পর্যন্ত রেগেই গেল, তখন বরাবরের মতো বড় বোন আমাকে বুঝিয়ে রাজি করাল। চৌদ্দ বছর বয়সে সেই প্রথম শাড়ি পরা। আপা বিউটি পারলার থেকে সেজেগুজে বাড়িতে এল। এসে আমাকে সেফটিপিন দিয়ে আঁটসাঁট করে শাড়ি পরিয়ে দিল।

আয়নার সামনে নিজেকে নতুনভাবেআবিষ্কার করলাম। শুরুতে একটু আড়ষ্ট থাকলেও বিয়েবাড়ির উত্তেজনায় বেশ সহজ হয়ে গেলাম। সেই আমি এখন প্রায় প্রতিদিন শাড়ি পরে অফিসে যাই। সবাই বলে, খুব সুন্দর করে শাড়ি পরতে পারি। ’ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আলিশার মতো এমন গল্প আমাদের অনেকের জীবনে আছে।

কিশোরী বয়সে প্রথম শাড়ি পরা, তা কারও কারও জীবনের উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত। শুধু কি মেয়েটির কাছে, তার মায়ের চোখেও হঠাৎ করে ধরা পড়ে মেয়েটির বড় হওয়া। ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খানের মেয়ে জাজিলা ইসলাম। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রথম শাড়ি পরে সে। মাহিন খান বলেন, ‘জাজিলা এখন নবম শ্রেণীতে পড়ে।

গত বছর পয়লা বৈশাখে ওদের স্কুলে অনুষ্ঠান হয়েছিল। তখন সেই অনুষ্ঠানে ওর ক্লাসের সবাই শাড়ি পরে গিয়েছিল। আমার ব্লাউজ ওর মাপমতো ঠিক (অলটার) করে দিয়েছিলাম। তবে সেদিন মনে হলো, আমার মেয়েটা এত বড় হয়ে গেল কবে। ’
কিশোরী মেয়েরা হুটহাট একদিন তো শাড়ি পরে।

ফলে তাদের শাড়ি পরানোর ক্ষেত্রে বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। মাহিন খান মনে করেন, শাড়ির আঁচল ছেড়ে না দিয়ে ভাঁজ করে পরানো ভালো। পেটিকোটের ফিতা তুলনামূলক শক্ত করে পরতে হবে। যাতে শাড়ি খুলে যাওয়ার ভয় না থাকে। সময় থাকলে আগেই ব্লাউজ বানানো ভালো।

এ সময়ের মেয়েরা একটু ফ্যাশনেবল ব্লাউজ পছন্দ করে। আর সময় না থাকলে মায়ের ব্লাউজই সুন্দর করে অলটার করে দেওয়া যেতে পারে।
শাড়ি পরানোর সময় কুঁচি গুঁজে দেওয়ার আগে একটা সেফটিপিন দিয়ে আটকে দিতে হবে। কুঁচিতেও সেফটিপিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে যাকে পরাচ্ছেন তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে, তার কোনো অসুবিধা বা অস্বস্তি হচ্ছে কি না।


জীবনের প্রথম শাড়ি খুব ভারী কাজের বা ভারী কাপড়ের না পরাই ভালো। সুতি তাঁতের শাড়ি সব সময়ের জন্যই ভালো। এ ছাড়া শিফন, জর্জেট বা সিল্ক শাড়ি পরতে পারে। আর কম বয়সের মেয়েরা এমনিতেই অনেক স্নিগ্ধ থাকে। তাই খুব বেশি সাজ না সাজাই ভালো।

হালকা করে কাজল, কপালে ছোট টিপ আর লিপগ্লস দিলেই সাজ শেষ। তবে চুলের বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে। প্রথম শাড়ি পরাকে স্মরণীয় করে রাখতে সেই মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দী করলে ষোলোকলা পূর্ণ। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.