দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে
মানুষের অভাব বেড়ে গেছে। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাদেরকে অর্জিত অর্থে কেবল ক্ষুধা নিবারণ করতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
গত পরশু দিনের কথা। গুলশানের রাস্তায় হাঁটছিলাম। সাথে পরিচিত একজন ছিলেন।
হঠাৎ দেখলাম একটি লোকের অন্যায় আচরণের কারণে একটি ছেলে কান্না করছে, লোকটি তাকে মারতে উদ্যত। সাথের ভাইকে বললাম, চলেন ঠিক করে দিয়াসি। কাছে গিয়ে বললাম, কি হয়েছে? ছেলেটি কান্না রেখেই বলল, আমার বই এই লোক জোর করে বিক্রি করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, তারা দুজন পরস্পরের কলিগ। ইংরাজী ম্যাগাজিন বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
লোকটি বলছে, সে আমাকে বলেছে বিক্রি করে দিতে। পুরো ব্যাপার শুনে যা বুঝলাম, ম্যাগাজিনটির ক্রয়মূল্য ৬০ টাকা। লোকটি তা বিক্রি করেছে ২০০ টাকায়, এখন সে ছেলেটিকে দিচ্ছে ৮০ টাকা। সে বলছে, আমি তাকে বেশিই দিচ্ছি। বইটির গায়ে দাম লেখা আছে ৮০ টাকা।
ছেলেটি দাবী করছে ১০০ টাকা। আমি ছেলেটিকে বললাম, তুমি কি তাকে স্বেচ্ছায় দিয়েছো? বলল, না; জোর করে নিয়েছে। আমরা লোকটিকে প্রেসার দিলাম, ধমক দিলাম। বললাম, তুমি তো বইটি চুরি করে বিক্রি করেছ...... তুমি লাভ করবা ১২০ টাকা আর তাকে দিবা মাত্র ২০ টাকা? তাকে টাকা ফেরত দাও। চাপাচাপির পর সে ২০ টাকা দিল।
উপস্থিত অনেকের রাগ তখনও না কমলেও ছেলেটি এই ২০ টাকার দাবীই মেনে নিল।
মানুষ আসলে কষ্টে আছে, তার সাইকোলজি দেখলে বোঝা যায়। এখন আমি অল্প পথও রিক্সায় যায়। আগে কোন আশ্রয় প্রার্থী হাত পাতলে সামনে অনেক যুক্তি কাজ করতো...... এসব ভন্ড, ব্যবসা ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন চেষ্টা করি , ফিরিয়ে না দিতে।
অনেক কিছুই করতে ইচ্ছা করে, মনে হয় প্রতিদিন না হলেও কোন কোন দিন কাউকে বাসায় ধরে এনে খাওয়ায়, পেট ভরে আহার করুক। পারি না, লজ্জা করে.......অন্যরা অতি মহানুভবতার ধোঁয়া তুলে খোঁটা দিতে পারে বলে। তবে তাগিদগুলো আমাকে তাড়া করে ফিরে, এক ধরনের অস্বস্তি রয়ে যাচ্ছে মনে। নাহ! সাহসী হতে হবে...... এভাবে চলে না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।