বেশী দিনের কথা নয়। এক তরুন একটি কার্টুন একেছিলেন নিতান্ত রসিকতার বশে। 'মুহাম্মদ বিড়াল' নামকরন নিয়ে একটি অনেক পুরোনো বহুল প্রচলিত কৌতুক কে কার্টুনে রুপায়িত করেছিলেন একটা দৈনিক পত্রিকার রম্য সংখায়।
সাথে সাথে একদল মানুষ ক্ষেপে গেলেন। ওদের কথা মুহম্মদ (স) কে বিড়াল বলা হয়েছে, বিশাল একটা অন্যায় করা হয়েছে।
পত্রিকাটি ব্যান করার জন্যে ওরা অনেক হৈচৈ করলেন। পত্রিকার সম্পাদক করজোরে ক্ষমা চাইলেন। বেচারা কার্টুনিষ্ট জেল খাটলেন বিনা দোষে।
তখন আরেক দল প্রতিবাদ করলেন, ওরা বললেন কার্টুনিষ্টের বাকঅধিকার খর্ব করা হচ্ছে। ওরা আরও বললেন একজন লেখক কে তার লিখার জন্য অথবা একজন কার্টুনিষ্টকে তার কার্টুনের জন্য শাস্তি দেয়া আধুনিক সভ্যতার পরিপন্থী।
এর অল্প কিছুদিন পর এই ব্লগে অন্য একজন ব্লগারের, " কুকুরের কাজ কুকুর করিয়াছে" বলে একটি মন্তব্য মহা তোলপাড়ের সৃষ্টি করল। আবার ও একদল মানুষ ক্ষেপে গেল। এদের কথা মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলে মহা অন্যায় করা হয়েছে। দলবেধে সকলে দাবী জানাল এই ব্লগারকে ব্যন করার জন্য। কেউ তার ফাসি দাবী করল, এরা সকলেই চাইল চিরতরে এই অপরাধীর কন্ঠ স্তব্ধ করে দিতে, যেভাবেই হোক।
ঐ ব্লগার জানালেন যে উনি মুক্তিযোদ্ধাদের কুকুর বলেন নি। কিন্তু দলভারীদের চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ ঐ ব্লগারকে ব্যন করতে বাধ্য হল।
বিস্ময়কর ব্যপারটা হচ্ছে যে, মুহম্মদ বিড়াল বিষয়ে হৈচৈ কে বাকস্বাধীনতার উপর মৌলবাদীদের আঘাত হিসেবে দেখে, যে দল এর প্রতিবাদ করেছিল, তারাই এখন ঐ ব্লগারের ব্যন এর সবচেয়ে বড় সমর্থক। আর যারা তখন কার্টুনিষ্টের ফাসির দাবীতে রাস্তায় নেমেছিল, তারা এখন বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে ঐ ব্লগারের আন ব্যন চাইছে।
Double Standard কে বাংলায় কি বলে? দ্বৈতনীতি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।