যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
১/১১ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈশিষ্ট্য অভিন্ন নাকি ভিন্ন সে বিষয়ে পরস্পরবিরোধী ধারণা বিদ্যমান। সময়ের সাথে দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তণে রাজনৈতিক দলগুলোর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যপদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ্যযোগ্যভাবে। পরিবর্তন এসেছে নেতৃত্বে, দলীয় গঠনতন্ত্রে। দলগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এসেছে নানামুখী মেরুকরণ।
রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক ঐক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে একটা বিষয়ে, সেটি হচ্ছে রাজনীতির উপরে নিষেধাজ্ঞা বিলোপ।
জনসাধারণ থেকে শক্তিশালী বাণিজ্যশ্রেণীও বিবেচনা করতে শুরু করেছে যে রাজনৈতিক সরকার ব্যতীত সাধারণের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। রাষ্ট্র নামক একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক ও উচ্চশ্রেণীয় সুশীলিয় স্বার্থ রক্ষা ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার মূলত চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক অনৈক্যের স্থানগুলো মূলত কয়েকটা ইস্যুভিত্তিক। যেমন, দূর্ণীতি, দলীয় সংস্কার, যুদ্ধাপরাধ, ধর্মীয় রাজনীতি, বৈদেশিক সম্পর্ক ও হিউম্যান রাইটস। এসমস্ত ইস্যুগুলোতে দলগুলো তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে বা কিঞ্চিত বিবর্তিত হয়ে নতুন মতাদর্শ নির্মাণ করছে।
প্রাসঙ্গিকভাবে মাইনাস-টু ফর্মুলার বাস্তবায়ন হওয়া বা না হওয়ার সাথে এর আদৌ কোন সম্পর্ক আছে কিনা সেটাও বিবেচ্য।
তবে সবচেয়ে প্রধান অনুল্লেখ্য আলোচিত বিষয় হচ্ছে গনতন্ত্রায়ন। রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠায় মূলত গনতান্ত্রিক কাঠামো অনুসরণের দাবীগুলো যখন সোচ্চার তখনও দলগুলোতে অভ্যন্তরীণ গনতন্ত্র চর্চার কোন প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেখা যায়নি।
ফলশ্রুতিতে, এই একটা মাত্র অনুচ্চারিত কারণে গনতান্ত্রিক সরকারে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় ১/১১ পূর্ব ও পরবর্তী রাজনৈতিক দলগুলোর বৈশিষ্ট্য মূলত একই থাকবে বলে আমার ধারণা জন্মেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।