আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিব্বতে এসব কি হচ্ছে? চীন সরকারকে নিন্দা জানাই

যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে, ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ছোটবেলায় ভূগোল বইয়ে পড়েছিলাম, নিষিদ্ধ শহর -- লাসা, তিব্বতের রাজধানী। সেই লাসার জনগন আজ ভয়াবহ আক্রমণের সম্মুখীন। দীর্ঘসময় ধরে চীনের অধীনে থাকা এই তিব্বতী জনগন, যাদেরকে চীন সরকার যাবতীয় অধিকারসমূহ থেকে নিষ্ঠুরভাবে বঞ্চিত করে আসছে কয়েক দশক ধরে, তাদের জীবন আজ সরাসরি অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাহীন। গত সপ্তায় শুরু হওয়া চীন সরকারবিরোধী আন্দোলনে কয়েকদিনের মাথায়ই শতাধিক নিহত হয়েছে বলে দাবী করছে বিশ্বের মূল মিডিয়াগুলোর সবগুলো। নিষিদ্ধ শহর আবারও নতুনভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে, মিডিয়া, বিদেশী পর্যটক ও অধিবাসীদের লাসা থেকে চলে যাবার নির্দেশ দিয়েছে চীন সরকার।

ধিক্কার আর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই, চীন সরকারকে বলি, এই নিষ্ঠুরতা এক্ষুণি থামাও!!! এটা ঠিক যে চীনে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পক গেমসকে লক্ষ্য করে চীন সরকারের যাবতীয় মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজকর্ম এখন আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে, তারই ফলশ্রুতিতে চীনের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত তৈরী হবার পথ ধরেই হয়ত লাসার অধিবাসীরা এই আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ বিশেষ করে সাংস্কৃতিকভাবে নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর নিজেদের দাবী জোরদার করার অধিকার আছে। যেমন অধিকার আছে দারফুরের জনগনেরও। দারফুরের গণহত্যার জন্য সুদান সরকারকে অস্ত্র সহায়তা দেয়ার জন্য চীন সরকারের সমালোচনা করে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক স্টিফেন স্পিলবার্গ এবছর অলিম্পিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলে মূলত চীনের মানবাধিকার লংঘনবিষয়ক ইস্যুগুলো একটার পর একটা আলোচনায় আসতে থাকে। যদিও একই দোষে দুষ্ট আমেরিকায় (ইসরাইলে অস্ত্র যোগান) বসবাস করে চীনের ব্যাপারে স্পিলবার্গের এই প্রতিক্রিয়াকে অনেক সমালোচকই "হাস্যকর" বলে অভিহিত করেছেন, তথাপি দারফুরের গণহত্যার জন্য সুদান সরকারের পাশাপাশি চীন সরকারের দায় পুরোপুরিই থেকে যায়।

যেমনটা থেকে যাচ্ছে এবারের "লাসা ম্যাসাকারের" দায়। বাংলাদেশের মিডিয়া বা রাজনৈতিক অঙ্গনের এব্যাপারে নিশ্চুপ থাকাটাও একরকম নৈতিক অস্বস্তির জন্ম দেয়। অবিলম্বে চীন সরকার এই গণহত্যা থামাবে -- এই আহবান রাখা ছাড়া দুপয়সার ব্লগলেখক আমাদেরও আর তেমন কিছু করার নেই। ছবি: ওয়ালস্ট্রীট জার্নাল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।