আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যালো ডক্টর

http://profiles.google.com/mshahriar

"হ্যালো এটা কি ফায়ার ব্রিগেডের অফিস?" "জ্বিনা এটা ফায়ার ব্রিগেডের অফিস না৷" "ও আচ্ছা৷ আচ্ছা শুনুন আপনি কি ডক্টর সামিয়া বলছেন?" "জ্বি আমি সামিয়া বলছি৷" "আচ্ছা ডক্টর আপনি কি পাগলের চিকিৎসা করেন?" "জ্বিনা আমি পাগলের চিকিৎসা করিনা৷" "ও আচ্ছা তাহলে আমি বোধহয় ভুল জায়গায় ফোন করেছি৷" "জ্বি ঠিক ধরেছেন৷” দুম.. কুং কুং কুং...... "হ্যালো, আবার কি চাই?" "আচ্ছা ডাক্তার আপনার ওখানে কি কোন বোমা ফুটলো? কেমন যেন দুম করে একটা শব্দ পেলাম৷" "কি আশ্চর্য্য আমার এখানে বোমা ফুটতে যাবে কেন?" "না ভাবলাম মৌলবাদী জঙ্গীরা যদি কোন বোমা ফাটায়?" "মৌলবাদী জঙ্গীরা কেন আমার এখানে বোমা ফাটাবে?" "ওরা কোথায় কখন বোমা ফাটাবে তার কি কোন ঠিক আছে ম্যাডাম? ইচ্ছে হলেই দুম৷ এই যেমন আমি আপনাকে ফোন করে নিজের অস্তীত্ব জানান দেই, তেমনি ওরা বোমা ফাটিয়ে নিজেদের অস্তীত্ব জানায়, ভুলি নাই ভুলি নাই ভুলি নাই প্রিয়া... থুক্কু এখানে প্রিয়া হবে না, কি হবে ওরাই জানে !" "আচ্ছা আপনি কি জানেন আপনার সত্যি সত্যি পাবনা যাওয়ার সময় হয়েছে?" "হুঁ আমারও তাই ধারণা৷" "তাহলে যাচ্ছেন না কেন?" "কি হবে গিয়ে? আপনিতো সেখানে চিকিৎসা করেন না, করলে দৌড়ে যেতাম৷" "তবু আপনার যাওয়া উচিৎ" "আচ্ছা ভেবে দেখব৷ আচ্ছা ডক্টর আজকে আপনি কি টিপ পরেছেন?" "কেন আপনার তা দিয়ে কি দরকার?" "না এমনি জানতে চাইছিলাম৷" "আচ্ছা আপনি কি চান বলেনতো?" "আমি আপনাকে দেখতে চাই৷" "কিন্তু আমিতো পাগলের চিকিৎসা করিনা৷" "আপনি কি জানেন আপনাকে শুধু দেখলেই অনেক পাগলামী সেরে যায়?" "সারে নাকি? আমারতো মনে হয় শুধু বেড়ে যায়৷" "হা হা হা৷” "হাসছেন? আচ্ছা হাসুন, আমি ফোন রাখছি৷" "ডাক্তার শোন আমি তোমাকে দেখতে চাই৷" "উহ, তোমাকে নিয়ে আর পারি না, আচ্ছা আমি বিকেলে বসুন্ধরায় থাকবো৷" "থ্যাংকু ম্যাডাম৷ আচ্ছা ডাক্তার তুমি আজকে কি পরেছ? শাড়ি না সালোয়ার?" "বাবা গেলেই তো দেখতে পাবে৷" "তবু বলো৷" "না এখন বলব না৷ আমার অনেক কাজ আছে, এখন ফোন রাখো৷" "না রাখব না ৷" "বাবা বলছিতো আমার অনেক কাজ আছে!” "তাহলে তুমি রাখছো না কেন?" "তুমি ফোন করেছো তুমি রাখো৷” "আগের বার তো দুম করে রেখে দিলে৷" "মোবাইল রাখলে দুম করে শব্দ হয়না৷" “তবুতো তুমি রেখেছিলে৷” “রেখেছি বেশ করেছি, এবার তুমি রাখো৷” "উঁহু রাখবো না৷" "এই রাখো বলছি, নাহলে কিন্তু আমি বিকেলে আসব না৷" “না আসলে নাই৷ আমি তেরো তলায় রচিব আমার স্বপন বাসর, নাইবা থাকিলো দোসর৷ আমার একলা বাসর৷” “একলা বাসর কেন?” “তাছাড়া কি করব? তুমিতো আর রাজি হলে না৷” “আর কেউ নেই?” “চিনিনে চিনিনে আর কারোকে আমি চিনিনে, আমি শুধু তোমারেই চিনি, হে প্রিয়তমে!” “আহা কি ঢঙের কথা! কিন্তু তেরো তলায় কেন?” “আমার কপালটাইতো গ্যাড়াকল, সেখানে সৌভাগ্য বলেতো কিছু নেই৷ তাই আনলাকি থার্টিনের সাথেই আমার সখ্যতা৷” “হুম বুঝেছি৷ আচ্ছা আমি ফোন রাখছি৷” “আচ্ছা আমি কি তোমাকে আমার একটা স্বপ্নের কথা বলেছি?” “না এখন কোন স্বপ্নের কথা বলতে হবে না৷” “হবে৷ শোনই না৷” “আচ্ছা বলো৷” “হ্যাঁ শোন- কোন এক পাতাঝরা বিকেলের বিষন্ন রোদে, গোঁধুলীর ছায়াতে, পৃথিবীর সব আলো যখন আসছে মরে, আমরা দু'জন চলে যাব দূরে কোথাও আগুন লাগা কোন কৃষ্ণচূড়ার নীচে দু'জনে মুখোমুখি, অবাক চোখাচোখি ফিসফিস করে উচ্চাড়িব- ভালোবাসি৷” “কৃষ্ণচূড়া ফোটে বৈশাখে, সেসময় পাতা ঝরে না৷ আর গোঁধুলীর ছায়াতে বিকেলের রোদ থাকে না৷ কাজেই তোমার স্বপ্ন কখনো সফল হবে না৷ আর তুমিইতো বলো কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য্য কাঠফাঁটা রোদের মধ্যে৷” “তুমি এত ভুল ধর কেন ডাক্তার?” “কারন তুমি যে পৃথিবীতে বাস করো বাস্তবে সেই পৃথিবীর অস্তীত্ব নেই৷ বাস্তবে সে পৃথিবী সম্ভব না৷” “তাই বুঝি তুমি বলো আমি শুধুই এক ঘোরের মধ্যে থাকি? তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা শুধুই এক ঘোরের ফসল, আর কিছু নয়?” “হ্যাঁ৷” “আচ্ছা ঠিক আছে আমি রাখছি৷” “না এই শোন তুমি ফোন রাখবে না৷” “কেন এক ঘোর লাগা মানুষের কথা শুনে কি হবে?” “শোন, আমি তোমার এসব উল্টা পাল্টা শুনতে চাই না৷ আমি জানিনা তুমি কিভাবে কি করবে, কোথায় তুমি এখন কৃষ্ণচূড়া পাবে, কিন্তু এসব আমি শুনতে চাই না৷ আমি আসছি, আমি সেখানে যাব৷” “সত্যি? সত্যি যাবে?” “হ্যাঁ সত্যি৷” “থ্যাংকু, থ্যাংকু ম্যাডাম৷” “এই তোমাকে না বলেছি আমাকে ম্যাডাম বলবে না?” “স্যরিইই! থ্যাংকু, সোনা৷” “উহ, আমি পাগল হয়ে যাব!” “হা হা হা, বেশ হবে৷ আমরা দু'জন একসাথে পাবনা চলে যেতে পারব৷” ”হ্যাঁ তাহলেই তো তুমি খুশি হও৷ ফোন রাখো, আমি আসছি৷” “ওকে ম্যাডাম৷” “আবার?” “স্যরি সোনা৷ আমি অপেক্ষা করছি৷”

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।