জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
আমরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ হয়েছেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। এই আন্দোলনের ফসল এই দেশ। একদিন ভাষার মর্যাদা রার জন্য আমাদের পূর্ব পুরুষরা লড়েছিল বলেই আমরা আজ স্বাধীন।
তারা ভাষার জন্য জীবন দিয়ে গেছেন।
বিনিময়ে তারা আমাদের কাছে কোন পাওনা দাবি করেননি। কিন্তু তাদের কাছে আমরা ঋণী। এ ঋণ শোধ করব আমরা প্রতিদিন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তাদের কোন শ্রদ্ধা করি বলে তো মনে হয় না।
ভাষার জন্য জীবনদানকারী শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমরা তৈরি করেছি শহীদ মিনার। আমরা এ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা করি। তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ করার চেষ্টা করি শ্রদ্ধায় নত হয়ে। কিন্তু বাস্তবতা খুব খারাপ। আমরা যারা ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে যাই তারাই আবার শহীদ মিনারকে অবমাননা করি শহীদ মিনারের বেদিতে জুতো পায়ে উঠে।
সম্মান ও অসম্মানের এ পাশাপাশি অবস্থান আমাদের ভণ্ড চরিত্র দেখিয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় পৌর শহীদ মিনারে উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদ ্একটি ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে। ব্যানারে লেখা আছে একটি আবেদন - "শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে উঠবেন না। "
কিন্ত গতকাল দৈনিক যুগের চিন্তায় একটি ছবি ছাপা হয়েছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেই ব্যানারের নিচে জুতো পায়ে বসে আছে দুই তরুণ। তাহলে কি ধরে নেব আমরা শহীদদের শ্রদ্ধা করতে চাই না ? আমাদের সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ নেই ভাষা শহীদদের প্রতি ? আমাদের বিবেক মরে গেছে ? শ্রদ্ধা করার যেই স্বাভাবিক ভদ্রতা সেটা আমরা অর্জন করিনি ? জাতি হিসেবে সভ্যতার কোথায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি ? প্রার্থনা করি, আমাদের বিবেক জাগ্রত হোক। প্রার্থনা করা ছাড়া এ সব অকৃতজ্ঞ ভণ্ডদের জন্য আর কী করার আছে ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।