খবরে প্রকাশ,খূলনা বিশ্ববিদ্যালয়অভিবাবকহীন হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ভিসি পদত্যাগ করায় এই প্রশাসনিক শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি হটাও অপসংস্কৃতির কবলে পড়ছেন দীর্ঘ সময় ধরে। বলা হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাশীন দলের লেজুর বৃত্তিতে পারদর্শী শিক্ষতকদের ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়। ফালাফল হিসেবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরাও" ভিসি হাটও আন্দোলনে নামে ভিসিকে দূর্নীতিবাজ আক্ষা দিয়ে"।
জানা যায়, লবিং করে এ পদে আসীন হন অনেকে। যোগ্যতার মানদন্ড এখানে উপেক্ষিত। শুনা গেছে, ভিসি পদটি বাগে পেতে কোন কোন ভিসি ১২ লক্ষ টাকা ডোনেশনও দিয়ে থাকেন। যদি টাকাটা দিয়ে থাকেন তাহলে স্বভাবত প্রশ্ন আসে, এই টাকা তিনি কিভাবে তুলবেন। ভিসির মাসিক বেতন সর্বমোট ২৫/৩০ হাজার টাকা।
আন্যান্য সহ তিনি পান আরো ৩০/৩৫ হাজার টাকা। তিনি যেহেতু মেয়াদ শেষ করতে পারবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে । তাহলে কি ভর্তি কমিটির সভাপতি হয়ে কিংবা সমার্বতন আয়োজন করে অথবা সারা বছর ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করে বা নতুন রিক্রুটে ডোনেশন নিয়ে তার বিনিয়োগের টাকা তুলবেন। অর্থনীতির ভাষায় মানুষ বিনিয়োগ করে লাভের জন্য। লোকসানের জন্য বিনিয়োগ করেছে এমন নজীর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এ কারনে ভিসিকে য়খন পুড়িয়ে মারার সকল আয়োজন শেষ তখনও ভিসি মহোদয় পদত্যাগ করেন না। দেশ প্রেমের জন্য নাকি লভ্যাংশ উত্তোলনের বাকী জন্য। দেশের আন্যতম দুটি শিক্ষাপিঠ খূলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ভিসি হটাও আন্দোলন এত বেশী প্রকট য়ে, এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়েক কম সংখ্যাক ভিসি তার মেয়াদ শেষ করতে পেরেছে। শাবিতে ২০০০ সালের পর আট বছরে ৩ জন ভিসি পরির্বতন করা হয়েছে। একই সাথে খুবিতে একই অবস্থা।
শাবিতে প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর মোহমদ শফিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। জানা যায়, প্রভাবশালী মহল নব নিযুক্ত ভিসিকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নেয়। পরে ভিসি যখন ক্যাম্পাসে সেট হয়ে যায় তখন দূনীতিবাজ আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য করা হয়। ভিসিরা খুব কমই একক সিদ্ধান্ত নিতে পরেন। ডিন কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য, সিন্ডিকেট সভার মাধ্যামে সিদ্বান্ত নিতে হয়।
ভিসি দূর্নীতি করলে তার সাথে জড়িত থাকেন অন্যরাও। কিন্তু অন্যদের কিছু হয় না। ক্লাস পরীক্ষা না নিয়ে বিভাগে অনুপস্থিত থেকে শিক্ষকরাও বেতন নিচেছন। এগুলার কোন প্রতিকার নেই। হাতি মরলেও লাখ টাকা বাচলেও লাখ টাকা শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই বক্তব্য প্রযোজ্য।
আড্ডা স্থলে শিক্ষকরা খালেদা হাসিনা কিংবা ফখর উদ্দিন সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকলেও সর্বশেষ গবেষণা ও শিক্ষা সংবাদ তাদের কাছে পাওয়া যায় না এমন অভিযোগ প্রবীন শিক্ষকদের । তবে প্রতিকার কি পাঠক ? আমি জানি না আপনি কি জানেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।