আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিনমজুরের পোস্ট ধরে সন্ধ্যাপ্রদীপের পোস্ট ,সেখানেই আমার উপলব্ধি,উপলক্ষ সমাজতন্ত্রে মুক্তির উপায়।

One of the things I keep learning is that the secret of being happy is doing things for other people.

পুঁজিবাদের শোষন আর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য সামনে রেখে যে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার উদ্ভব এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সফল কতুটুকু । সোস্যলিজম নিয়ে কার্ল মার্ক্স কি অনেক বেশী লিখেছিলেন তা কিন্তু না। কিন্তু এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মূল আর্কিটেক্ট ছিলেন-বিপ্লবী লেনিন। ১৯১৭ সালের বিপ্লবের পর চার বছরের মাথায় ১৯২১ সালের মধ্যে ১৪% গ্রোস উতপাদন হৃাস পায় ,যদি মেমোরী সঠিক হয়ে থাকে।

মনে হয় , এই পরিসংখ্যানই লেনিনকে নতুন পরিকল্পনার দিকে এগিয়ে নেয়। আর তা হলো-NEP New Economic Policy যা ছিলো অনেকটা পুঁজিবাদ আর সমাজবাদের মিশেল। ঠিক তখন লেনিন এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রাক্কালে বলেছিলেন-গনিতের মূল চারটি নিয়ম জানা মাত্র মানুষের কাছেই সমাজতান্ত্রিক এ অর্থব্যবস্থা সুফল বয়ে আনবে। এবং তাদের নিকট বোধগম্য হবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে তা হয়নি এবং পারেনি রাশিয়ার অর্থনীতিতে গতি সন্চালন করতে।

সম্ভবত ১৯২৭ সালের শেষের দিকে নতুন শাসক স্ট্যালিন এ ব্যবস্থারও পরিবর্তন করেন। তারপরও শোষনবাদ আর অর্থনৈতিক নৈরাশ্যের মুক্তির আশায় টিকে ছিলো ৭০ বছর। মূল অর্থ আইনের একেবারে চারিত্রিগত পরিবর্তন,উতপাদন ব্যবস্থার মন্দাভাব,মূল্য ব্যবস্থা সঠিক ভাবে আরোপিত না হওয়া,মুনাফার আশা মুখ্য না হওয়ায় প্রতিযোগিতা কমে যাওয়া, বেসিক উপযোগের চাহিদা হারানো -যেমন,সরকারী হসপিটালের প্রতি অবহেলা অন্যদিকে সামরিক ক্ষেত্রে সর্বোপরি সুযোগ দেয়া। এর বাইরে আরো কিছু কারন এসে যায়। ভোক্তা আর উতপাদনকারীর মাঝে সামন্জস্য না থাকা, ঠিক তেমনি ভাবে কায়িক শ্রম আর মানসিক শ্রমকে একেবারে একি মানদন্ডে বিচার করা।

শহুর ভাবধারায় গ্রামকে নগরায়নের চেস্টা। সমসাময়িক বিশ্বব্যবস্থায় পুঁজিবাদী রাস্ট্রের সাথে পাল্লা দেয়া, অথবা পারস্পরিক অসহযোগিতা। আসলে বইয়ের লিখিত তথ্যে আর ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পূর্ন ভিন্ন জিনিস। There was always a vast and widening gap between theory and practice. এ প্রসংগে আমার ছোট একটি কৌতুক মনে পড়ে গেলো- পড়ালিখা শেষে ছেলে গ্রামে গেছে । বাপের সাথে গেলো এক গ্রামে দাওয়াত খেতে।

কিন্তু ওরা মনে করেছিলো শুধু বাপই যাবে দাওয়াত খেতে। তাই খাবার টেবিলে ছিলো শুধু মাত্র ১ টা ডিম। এখন বাপ পড়েছেন চিন্তায়। কী করা যায়। কিন্তু বাপ ছেলেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে বাবা- "মনে করো" বাটিতে ২টি ডিম আছে।

বাপ বলে -আমি দেখি ১ টা ডিম তুই ২ টা বলিস কেন? ছেলে বলে- বাবা , "মনে করো"-এখানে ২টি ডিম, যাতে হিসাব মিলাতে সহজ হয়। তখন বাপ রেগে গিয়ে বল্লেন- তুর "মনে করো" টা তুই খা। আর ডিম টা আমি খাই। সমাজতন্ত্র যদি সফল হতো আশাকরি সবার ভাগ্যে ডিম জুটতো। আমরাও খুশী হতাম।

গানিতের বইয়ের অংকও সহজে মিলে যেতো। কিন্তু ৭০ বছর পর বুঝা গেলো -বইয়ের সে ডিম -আসলে বেশী মানুষের পাতে যায়নি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.