আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পপকরন খাইতে খাইতে লিখা মুভি রিভিউঃ (পর্ব ৩) “The Pirates! Band of misfits” (অস্কার নমিনেটেড ফর অ্যানিমেশন ক্যাটাগরি ২০১৩)

সামুতে সেফ হবার জন্য সংগ্রাম করছি! দোয়া করবেন! রাতে সাধারণত ঘুম আসে না। হাতের মধ্যে থাকে কফির কাপ। চোখ থাকে পিসির মনিটরে। আজকে,এইমাত্র দেখে উঠলাম “The Pirates! Band of misfits”। আইএমডিবি রেটিং বেশ কম, তারপরও দেখতে বসা, ক্যান এই ছবিটা অস্কারে অ্যানিমেশন ক্যাটাগরিতে নমিনেশন পাইলো সেটা জানার জন্য।

মূল চরিত্রের নাম পাইরেট ক্যাপ্টেন, তার সাথে সবসময় থাকে এক দুষ্প্রাপ্য পাখি যার নাম পলি। পাইরেটদের নিয়া একটা কম্পিটিশন হয়, যে পাইরেট সবথেকে বেশি পরিমান স্বর্ণ ডাকাতি করে নিয়া আসতে পারবে,সেই পাবে বেস্ট পাইরেট অ্যাওয়ার্ড। এই অ্যাওয়ার্ড জিতার জন্য ক্যাপ্টেন সাহেব অনেক চেষ্টা করে বিভিন্ন জাহাজে ডাকাতি করতে যায় এবং কিছুই পায় না। শেষমেশ,অ্যাওয়ার্ডের জিতার জন্য মরিয়া ক্যাপ্টেন বিক্রি করে দেয় তার প্রিয় পলিকে,দুষ্প্রাপ্য পাখি বলে সেটা কিনে নেয় লন্ডনের রানি। বিনিময়ে ক্যাপ্টেন পায় বেশ কিছু স্বর্ণ, যেটা দিয়ে তার অ্যাওয়ার্ড জিতার পথটা সুগম হয়।

বলে রাখা ভালো, পাখি বিক্রির ব্যাপারটা এখানে আদর্শ বিক্রির সাথে তুলনা করা যেতে পারে। নিজের আদর্শ বিক্রি করা ক্যাপ্টেন কি অ্যাওয়ার্ড জিততে পারবে শেষ পর্যন্ত? উত্তরঃ ৮৮ মিনিটের এই মুভির ৬০তম মিনিটে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে। যাই হউক, ঘটনার পর ঘটনা, জানা যায়, লন্ডনের রানির একটা বাজে স্বভাব আছে, দুষ্প্রাপ্য পশুপাখি দিয়া ডিনার করা তার শখ। পলিকে সে এইজন্যই কিনছে ক্যাপ্টেনরে ভুলভাল বুঝ দিয়া। এইটাও কাইন্ড অফ রূপকার্থে, দুনিয়ার বড় বড় লিডাররাই আসলে পশু-পাখি-পরিবেশের সবথেকে বেশি ক্ষতিটা করতেছে, নগরায়ন-ধর্ম-সন্ত্রাসবাদ টাইপ কঠিন কঠিন শব্দের ভুলভাল বুঝ দিয়া।

ছবিতে একজন রানি, একজন মাত্র পাইরেটের সাথে যেটা করছে, ঠিকঠাক সেই কাজটায় বাস্তবে,আমাদের নেতারা পাবলিকের সাথে করে, বারবার এবং বারবার,আমরা বেকুব হয়ে যাই। ভাবার মতো ছবি। দেখা শেষ হবার পর দুই মিনিট পিসির সামনে থ মেরে বসে থাকার ছবি এইটা। রিকমেনডেড। আর সব এনিমেশন ছবির মতোই,এইটাতেও আছে মন খারাপ থাকলে হিকহিক করে হাসার কিছু মোমেন্ট।

আছে বুকের মধ্যে ধুপধাপ কাপাকপির কিছু ডায়ালগ। এক সিনে, ক্যাপ্টেনের মন খারাপ থাকে, ডাকাতি-টাকাটি-পাইরেটগিরি আর করবে না বলে ডিসিশন নেয়। সেসময় হাজির হয় তার সহকারি, নাম হলো নাম্বার টু। বলে,ভাই দ্যাখেন জীবনটা কিন্তু কোন অ্যাওয়ার্ড জিতার মতো কিছু না। অ্যাওয়ার্ড জিতা, সফলতার পিছনে ছুটা এইটা লাইফের এইম হইতে পারে না ।

এইসব বাদ দেন, সফল নাকি অসফল এইসব বালছাল চিন্তা বাদ দেন। সুখি হন, যেই কাজটা করলে আপনার ভালো লাগে, সুখ সুখ লাগে, সেইটা করেন। উপরের এই কথাগুলায় ঘুরায় প্যাঁচায় ইতংবিতং করে বারবার বলতে বলতে আমাকে যথেষ্ট পরিমান পেইন দেয় একজন। নাজিরুল ইসলাম নাদিম। নামের প্রথম ও শেষ শব্দ যার না দিয়ে শুরু,কি আজব ব্যাপার? আমার সব কিছুতেই সে খালি হ্যাঁ হ্যাঁ করে ক্যান? পাইরেট ক্যাপ্টেনের মতোই, আমারও একজন নাম্বার টু আছে।

এইসব নাম্বার টু দের জন্যই, মনে হয়,নাহ, বেঁচে থাকাটা খুব বেশি একটা খারাপ কিছু না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।