সমসাময়িক নরওয়েজিয়ান লেখকদের নাম করতে হলে শুরুতেই উঠে আসে ড্যাগ সলসট্যাড, জোসটিন গার্ডার, এরিস ফসনেস, হান্সেন ও লারস সাবি ক্রিসটেনসেনসহ প্রায় ৩০ জনের নাম। এরা সবাই প্রতিষ্ঠিত লেখক এবং নিজ দেশের গ-ি ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও রয়েছে বেশ পরিচিতি। তাদের লেখা দশেরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ড্যাগ সলসট্যাডের কথাই বলা যাক। নরওয়ের প্রথম সারির লেখকদের মধ্যে তার অবস্থান শীর্ষে।
যদিও তার শুরুর দিককার বইগুলো যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। এ পর্যন্ত তার ৩০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এবং তিনিই হচ্ছেন একমাত্র লেখক যিনি তিন তিনবার ‘নরওয়েজিয়ান লিটারেরি ক্রিটিকস’ পুরস্কার পেয়েছেন।
এতো গেল পুরুষ লেখকদের খবরাখবর। আর নারী লেখকদের কী অবস্থা? তারাও কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে নেই।
যেমন ধরা যাক কিম স্ম্যাগ, উনি লিন্ডেল ও কেরিন ফোসামের কথা। ক্রাইম লেখক হিসেবে তো তারা এখন আন্তর্জাতিক পরিচিতিই পেয়ে গেছেন। তারপর হার্বজরগ ওয়াসমোর কথা না বললেই নয়। তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বেশ কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছেন।
তার ‘ডায়না’স বুক’ নামের বইটি থেকে চলচ্চিত্রও হয়েছে।
ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতে এখন সব দেশেই লেখকদের কদর বেড়েছে। আর এ ক্ষেত্রে যেহেতু স্বল্প সময়ে পরিচিতি ও ভাল উপার্জন হয়, লেখকরাও তাই এই হাতছানির মোহ ছাড়েন না। লারস সাবি ক্রিসটেনসেন, নিকোলাস ফ্রোবেনিয়াস এবং আরল্যান্ড লো কেবল নরওয়ের সাম্প্রতিক সময়ের জনপ্রিয় ঔপন্যানিকই নন, ভাল চিত্রনাট্যকারও।
আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক এবং নরওয়েÑ এই পাঁচটি দেশকে একত্রে বলা হয় নর্ডিক অঞ্চল।
কারণ এদের মধ্যে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে মিল অনেক। নর্ডিক সাহিত্যকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে এই পাঁচটি দেশ মিলে ১৯৬২ সালে গঠন করে ‘নরডিক কাউন্সিল অব মিনিস্টারস’। প্রতি বছর এই সংগঠন এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে থেকে একজন লেখককে পুরুস্কৃত করে। এ পর্যন্ত নরওয়ের ৮ জন লেখক এ পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেনÑ তারজেই ভেসাস (১৮৯৭-১৯৭০), জন বরগেন (১৯০২-১৯৭৯), কাজারটান ফগস্ট্যাড, হার্বজরগ ওয়াসমো, অসটিন লন, জান কাজারস্ট্যাড এবং লারস সাবি ক্রিসটেনসেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।