রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে
দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বেশিরভাগ অধিবেশন হয়েছে কংগ্রেস সেন্টারে। বরফের রাস্তা পেরিয়ে যেতে হয় সেখানে। সেন্টারের সঙ্গেই কংগ্রেস হোটেল। লবিতে দাড়িয়ে আছি, হঠাৎ দেখি হেনরি কিসিঞ্জার। এক সময়ের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিণ বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে হেনরি কিসিঞ্জার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিতর্কিত নাম। ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশকে বলেছিলেন বাস্কেট কেস। ১৯৭১ সালে তাঁর সমর্থন বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না।
বিশ্বাস করেন তার চেহাড়ার মধ্যে অশুভ কিছু একটা আছে। আমি কখনো ড্রাকুলা নিয়ে ছবি করলে তাকেই নিতাম।
লম্বায় তিনি ভুব বেশি না, বয়স হয়ে গেছে, চামড়ায় ভাজ, কিন্তু চোখ দুটি যথেষ্ট উজ্জল। সবমিলিয়ে অনেক মানুষের মধ্যেও তার দিকে চোখ পড়তে বাধ্য।
আমাদের সঙ্গে ছিলেন ইউএনবির সাংবাদিক শামিম ভাই। কিসিঞ্জারকে দেখেই এগিয়ে গেলেন। হাত মিলিয়ে নিজের পরিচয় দিলেন।
বাংলাদেশ শুনে কিসিঞ্জারও খানিকটা আগ্রহ দেখালেন। তারপরেই সম্ভবত কৌশলে ভুল করলেন শামিম ভাই। বললেন, মি. কিসিঞ্জার, বাংলাদেশকে মনে আছে তো সেই যে বাস্কেটকেস বলেছিলেন।
সঙ্গে সঙ্গে গম্ভির হয়ে গেলেন কিসিঞ্জার। বললেন, সে সময়ের এক বিশেষ সময়ের রিস্থিতিতে মন্তব্য করেছিলাম।
এখন আর সে বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
তারপরেও শামিম ভাই বার বার মন্তব্য করার জন্য বললেও আর কোনো কথা বলেননি কিসিঞ্জার।
তখনই চলে আসলেন টনি ব্লেয়ার, তার সঙ্গে কথা কথা বলতে বলতে চলে গেলেন হেনরি কিসিঞ্জার।
একবার মনে হয়েছিল বলি যে আপনার সঙ্গে ছবি তুলি। পরে মনে হলো নাইবা থাকলো বাংলাদেশ বিদ্বেষি হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গে ছবি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।