বেশিরভাগ মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথাজনিত সমস্যায় ভোগেন। আমাদের দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজন এই সমস্যায় ভোগেন। তবে পুরুষের তুলনায় নারীরা কোমর ব্যথায় একটু বেশি ভোগেন।
প্রতিকার: ফার্মাকোথেরাপি- চিকিৎসকরা রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সাধারণত ব্যথানাশক এনএসএআইডিএস গ্রুপের ওষুধ, রিলাঙ্জেন ও সেডেটিভজ জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে থাকেন। অনেক সময় মেরুদণ্ডের ভেতর স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও প্রয়োগ করেন।
ফিজিওথেরাপি : এই চিকিৎসাব্যবস্থায় চিকিৎসক রোগীকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন, লাম্বার ট্রাকশন ও বিভিন্ন ব্যায়াম দিয়ে থাকেন। তাছাড়া চিকিৎসা চলা অবস্থায় কোমরে নির্দিষ্ট অর্থোসিস বা ব্রেস প্রয়োগ করে থাকেন। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা চালানোর পরও যদি রোগীর অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তবে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী কোমর-মেরুদণ্ডের অপারেশন বা সার্জারির প্রয়োজন হয়। এ জাতীয় সার্জারি নিউরো বা অর্থোসার্জন করে থাকেন।
প্রতিরোধ : ভালো হওয়ার পরও ব্যথা আবার দেখা দিতে পারে।
তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করলে ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। কোন ব্যায়াম উপযোগী তা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডা. মো. সফিউল্যাহ্ প্রধান
চেয়ারম্যান, ডিপিআরসি, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৬৩০৬৯১৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।