ইমরোজ
পৃথিবীর বয়স অনেক হয়ে গ্যাছে। আমরা আজকে তার জন্মদিন পালন করলাম। সবাইকে তার জন্ম দিনের শুভেচ্ছা।
জন্মদিন কথাটা মনে আসতেই, মনে হলো, একদিন পাগলের মত ৬,৭, ৮ বছরের জন্মদিনগুলো উদযাপন করতাম। কেক কেটে, পোলাও খেয়ে।
কবে ১৬ বছরের জন্মদিন আসবে? আর আমি বড় হব! কিন্তু আজ আর জন্মদিন ভাল লাগে না। কারণ আমার বয়স ২০ এর উপর চলে যাচ্ছে। কী পেলাম বড় হয়ে? স্বাধীনতা কি পেয়েছি? না পেয়েছি একটুকরো শান্তি পড়াশোনা নামক জঞ্জাল থেকে?
একদিন আঠারো বছর হলে মনে হত, স্টার মুভিজ এর ১৮+ মুভি-গুলো দেখবো। তখন আর কোন বাঁধাই থাকবে না। কিন্তু বিশ্বাস করুন স্কুল আর কলেজের নাভিশ্বাস পড়াশোনায় ভুলেই গ্যাছি কবে আমার আঠার হলো, আর কবেই বড় হলাম।
একসময় কেউ জন্মদিন পছন্দ করেন না। কেননা, ৬০ বছর কাছে চলে আসছে। হয়তো মরে যাবে। এই পৃথিবীতে তার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে।
যতই আনন্দ করুক না কেউ, তার ৭৫ অথবা ৮০ বছরের জন্মদিনে, তার মনের ভেতর লুকিয়ে থাকে, মৃত্যুর বাজনা, জানান দেয় বারে বারে, সে আর বেশি দূরে নাই।
পৃথিবীর বয়স অনেক অনেক হয়ে গ্যাছে। হয়তো সভ্যতার হলো মাত্র ২০০৮ বছর, কিন্তু এর আগে, তার আগে কয়েক লক্ষ বছরের পথ আমাদের এই পৃথিবী পাড়ি দিয়েছে। আজকে তার জন্মদিন আমরা উদযাপন করি ঠিকই, কিন্তু তার মনেও সে বৃদ্ধটির মত বাজনা বাজে, আর বেশি দূরে নয় মৃত্যু। এইতো আর একটু বাকি। আমরা জানি না তার আয়ু কতটুকু।
বুড়ো হয়ে গ্যালে মানুষের অনেক রোগ দেখা দেয়। ঠিক তেমনি, পৃথিবীর অনেক রোগ দ্যাখা যাচ্ছে বর্তমানে। যার মধ্যে উষ্ণায়ন, আবহাওয়া পরিবর্তন ইত্যাদি উল্লেখ্য। জোড়াতালি দিয়ে, আমরা পৃথিবীকে বাঁচাবার চেষ্টা করছি। কয়দিন এই রোগীকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারি কে জানে? তবুও প্রাণের এই পৃথিবীর জন্মোৎসব, তাকে বাঁচিয়ে রাখার আত্ম প্রত্যয়ে ভরপুর থাকুক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।