গতকাল রাত দুই টায় ঘুমোতে গিয়ে সকালে উঠলাম ১১ টার দিকে। মাংস পরটা আর চা খেয়ে একটু গ্রোসারী করতে গেলাম। তারপর দুপোর ২টার দিকে গেলাম আটলান্টা শহরে জিমি কার্টার লাইব্রেরী ও মিউজিয়াম দেখতে। আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের অনেকেরই নিজস্ব লাইব্রেরী ও মিউজিয়াম রয়েছে। ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই একজন আর্কাইভিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রেসিডেন্সিয়াল ডকুমেন্টগুলো আর্কাইভ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ক্ষমতা ছাড়ার পর পর তাদের মিউজিয়াম ও লাইব্রেরী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিস্ঠা করা হয়। রাস্ট্রপতিরা ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরও তাদের শাসনামলের সাফল্য ও গৌরব ধরে রাখার জন্য এই ব্যবস্থা। জিমি কার্টার জর্জিয়ার গভর্নর ছিলেন ১৯৭১-৭৫ পর্যন্ত। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত তিনি মার্কিন যুক্তরাস্টের রাস্ট্রপতি ছিলেন। এসময় ইরানে মার্কিন কূটনীতিবিদদের অপহরণ নিয়ে তার সময়কাল বেশ সংকটে ছিল।
মিউজিয়ামে কুড়ি মিনিটের প্রামাণ্য মুভি দেখানো তার জীবন ও দর্শন নিয়ে। তার কিছুটা দেখে পুরো মিউজিয়াম ঘুরে দেখলাম। সবচেয়ে ভাল লাগল, বিভিন্ন সময়ে তিনি বিদেশী রাস্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে যে উপহার পেয়েছেন তা কিন্তু এখানে সংরক্ষিত। রাস্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় রাস্ট্রপতিদের ইতিহাস আর ঐতিহ্য সংরক্ষণের এই চেস্টা আমাকে অভিভূত করল। আপনারাও চাইলে অন লাইনে ঘুরে দেখতে পারেন জিমি কার্টার লাইব্রেরী ও মিউজিয়াম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।