জোনাকি জ্বলা রাতে মন যেতে চাই তারা ছুতে
আহ! কি আনন্দ ঘরে ঘরে......আমার চোখের ঘুম উড়াল ধরে
ঈদ মানে আনন্দ সবার কাছে আমার কাছেও। কিন্তু কোরবানির ঈদ মানে আমার কাছে আজাব । কিন্তু তারপর ও কষ্ট টা আড়আল করে ঈদ পালন করি, বা করতে হয় । এবার এর ঈদ আর কি কমু । সকালে ঘুম থেকে উইঠা ঝাড়ি খাইছি।
তারপর তো আটো খুতবা বাদই দিলাম। নামাজ কইরা কাম করতে করতে ঠ্যাং ব্যাকা হইয়া গেছে। তাও কুনু সমস্যা নাই। ১ দিনের ব্যাপার । ঈদ পালন কইরা পরের দিন কলেজ থেকে আইসা শুনি বাংলাদেশ থেকে আমাগো বংশের ঐ দূর দূর সম্পর্কের কেঠা আইতেছে ।
আনন্দো পাইলাম কিন্তু। পরের দিন আমরা সবাই গেলাম তাগো আনতে এয়ারপোর্ট । শালার বাংলাদেশের বিমান । কি আর কমু । আসার কথা বিকেল ৫ টাই কিন্তু ফ্লাইট ডিলে।
আই তে আই তে আইলো রাত ১২ টা । আমরা সপরিবারে খাটায় আছি তাগো ওয়েল পাম থিক্কু ওয়েলকাম জানানের জন্য। কিন্তু তাহো কোনো খবর নাইক্কা । আমার আব্বু তো বুক আজরাই দাড়ায় ছিল। যখনই তাদের দেখা পাবে তখনই তাদের লগে হাগ হাগ খেলবে থুক্কু কুলাকুলি করবে।
কিন্তু তাদের কেন তাদের চুচারও কুনু দেখা পাইলাম না। কি আর করমু বান্দর আর কত চুপ কইরা তাহকতে পারে। আমি আর আমার বইন মানুষ নিয়া গবেষনা করবার শুরু করলাম। যত মানুষ আসে আমরা তগো খুট কাটি। একজনরে দেখে আমি ভাবলাম এইডা মনে হয় ইয়াং কালে ফুটবল প্লেয়ার ছিল, হাটতে ছে নাকি ফুটবলে কিক মারতেছে বুঝতে আমার পুরা ১ সেকেন্ড লাগছে।
। এর উপর আবার একজন আইসা আমার সামনে দাড়ায়লো। এমনিতে আমি লম্ববাই পিচ্চি আর ঐ বেটা এতো লম্বা যে তার কাধে উঠন ছাড়া আমার সামনে কিছু দেখার সাধড় নাই । যায়হক এই করতে করতে রাত ১ টা বাজলো। আমি এই দিকে পুরা ঢুলতেছি ঘুমে।
এর মধ্যেই ফুন আইল । কি আর কমু। মেহমান নাকি আমাগো বাসার কাছে আর আমরা এয়ারপোর্টে । ঝড়ের বেগে বাসায় ফিরলাম । তাগো দেইখা তো আমার আব্বু আনন্দে কুল কুল ।
কিন্তু আমার আর সেই আনন্দ সইল না । এখন আমার আম্মু ওগো লগে ঘুইরা বেড়ায় আর আমারে রান্না করতে বইলা যায়। কি যে করি আমি তো পুরা মেনকার চিপাই। আমারে কেউ বাচাও!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।