বিদেশি নাগরিক হয়েও ওডারল্যান্ড আমাদের অহঙ্কার। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ৪২৬ জনকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের এমন সম্মান অর্জন করা ওডারল্যান্ড একমাত্র বিদেশি।
১৯৭১-এ তিনি বাটা কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। হল্যান্ডে জন্ম নেয়া ডব্লিউ এম ওডারল্যান্ড ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এসে টঙ্গীতে বাটা কোম্পানির এক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।
তিনি ছিলেন মূলত সাহসী যোদ্ধা।
১৯৩৬ সালে ওলন্দাজ বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে হাতে অস্ত্র তুলে নেন। ১৯৪১ সালে জার্মানির হিটলার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার রক্তে ছিল যোদ্ধার আগুন। ৭১-এ যুদ্ধের দামামা ছড়িয়ে পড়লে ওডারল্যান্ড বাঙালি জাতির পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
বিদেশি নাগরিক হওয়ায় সুযোগে যুদ্ধের শুরুতে ওডারল্যান্ড ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেন। এরপর তিনি বাটা কোম্পানির কর্মচারিদের সংগঠিত করে সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষীদের অস্ত্র নিয়ে একটি দল গঠন করেন। বিদেশি কমান্ডারের নেতৃত্বে এই মুক্তিযোদ্ধার দল গাজীপুর ও টঙ্গীর বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নেয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত করতে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে দেয়া হয় বীর প্রতীক খেতাব। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়া চলে যান ওডারল্যান্ড।
বিদেশি নাগরিক হয়েও বাংলাদেশের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। ওডারল্যান্ড বাংলাদেশে আবারো আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার সে আশা পূরণ হয়নি। তিনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেছেন। তবে বাংলাদেশ নামের সঙ্গে জাগ্রত হয়ে আছেন বীর প্রতীক ওডারল্যান্ড।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।