৩ বছর আগে একবার পা মচকে Ankle fracture করেছিলাম। আদ্ভুত এক রুমমেট ছিলেন তিনি ভুলেও সাহ্ায্য করতে চাইতেন না। এনি ওয়ে ব্যন্ডেজ করে আসার তিন দিন পর চেক আপ ও এক্স-রে করতে যাছ্ছিলাম। ক্রাচ নিয়ে চলতাম। আমি তখন থাকতাম একাটা পাহেড়ের উপরে।
ক্লিনক টা ডাউন দা হিল ছিল।
সিক লিভে বাড়িতেই ছিলাম। পড়নে ছিল একটা থ্রিকোর্য়াটার সর্টস ও টি শার্ট। একা চেন্জ করতে কষ্ট হতো বলে ঐ পরেই নিচে নামলাম। চুলগুলো বোধহয় এলমলো ছিল।
যই হোক হেটেই যাছ্ছিলাম কারন পাহাড়ের নিচেই রাস্তার ওপারেই ছিল ক্লিনিক টা।
ক্রাচ নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে যাছ্ছিলাম। রাস্তা পেরবার পডিস্ট্রিয়ান এ লাল বাতি দেখে দাড়ালাম সবুজের অপেক্ষায়। উল্টো দিকে চোখ পড়তেই এক চাইনিজ লোককে আমার দিকে তাকাতে দেখলাম করুন ভাবে।
সবুজ জ্বললে রওনা দিলাম।
আমি পার হবার আগেই সেই চাইনিজ সাই করে আমার কাছে চলে এলো। পকেট থেকে ১০ ডলারের একটা নোট বের করে আমার হাতে গুজে দেবার চেষ্টা করলো আর বোলল "go see doctor". আমি যতই বলি আমি চাইনা, সে ততই জোর করে। আমার কিন্তু তখন ডাক্তার দেখাবার ক্ষমতা আছে। সো টাকা আমি নেব না আর সেও ছারবেনা। আমার পুরা হা হয়ে যাওয়া অবস্থা।
কি করে এর হাত থেকে ছারা পাই বুঝতে পারছিলাম না। ভাবছিলাম আমাকে কি ফকিরের মতো দেখাছ্ছে নাকি রে বাবা। কারন ১০ ডলার দিয়ে ডাক্তার দেখানও যায়না। হা হা হা অনেক কষ্টে ঐদিন ঐলোকের হাত থেকে ছারা পেলাম। সে আমার হাত ধরে জোর করছিলো টাকা নেবার জন্য অনেক্ষন।
আসলে উনি পাগল ছিলেন। আর আমার আবার পাগলদের ব্যপারে একধরনের আতংক আছে মনে। পাগল দেখলে আমার আত্তা খাচা ছারা হয়ে যায়।
পরে বুঝেছিলাম আমার পোশাক ও চেহারা এতই বাজে ছিল সেদিন যে একজন পাগল আমাকে দেখে ফকির মনে করে সাহায্য করতে চেয়েছিল।
সিংগাপুরের রাস্তায় প্রচুর পাগল চোখে পরে বেশির ভাগই একা একা কথা বলে জোরে জোরে।
আর তারা ফ্রি ঘুরে বেড়ায়। প্রাই বাসে পাগল দেখি মাঝে মাঝে বাসে পি পি করে দেয়। প্রথম প্রথম খুব ভয় পেতাম আমার পাগলাতংকের কারনে এখন আর কিছু মনে হয়না। এখানের প্রচন্ড টেন্সড লাইফে কজের চাপ ও টাকার চিন্তায় মানুষ পাগল হয়ে যায়।
ব্যপারটা নিয়ে পরে খুব হেসেছিলাম।
ঐ ঘটনা যতো বার মনে পরে ততোবার একাই হাসি আমার অবস্থা ঐ মুহুর্তে কি হয়েছিল মনে করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।