কখনো চাই নাই দূরে থাকি...তবু দূরগুলো বারে বারে আসে...
আমরা আসলে কিসের পিঠে চইড়া চলতেছি কোন পথে এই প্রশ্নবিদ্ধ হইয়া চলতে শুরু করি এই বেলা...বাহনের চরিত্র নিয়া আমরা (সকল অভ্যাগতের দায়িত্ব নিজ কান্ধে তুইলা নিলাম) সংশয়ে থাকি, সংকটে থাকি। যা কিছু ঘটে চোখের সমুখে, যা কিছু শুনি কর্ণপটহে, যা কিছু ছুঁয়ে যাই এই বেলা-ঐবেলা...সব কিরম উলট পুরান-ফাকা বুলি। বাহনেরা সব ছদ্মবেশে বিভিন্ন কথা শোনায়...এইসব কথায় ছদ্মবেশী শব্দ থাকে, থাকে বিভ্রান্তিকর উচ্চারণ। বিভ্রান্ত করণের সকল কৌশল জানেন আমাগো সারথীরা...
প্রশ্নটা আসলে আমাগো সারথীগো নিয়াই...তারা আমাগো নিয়া রওয়ানা দ্যান উন্নয়নের পথে...আমরা তাগো বাহনে সামিল হ'ই। তারপর সেই বাহনের সকল বাহানা শুরু হয়...বাহনেরা জানে তাগো দৌড় কদ্দূর, কিন্তু সারথীরা তাগো ছদ্মবেশ চড়াইয়া আমাগো সামনে আনে, আমরা মোহিত হইয়া উঠি অদ্ভুত কোনকিছুর পিঠে(!?)।
অতীতের সকল সারথীরা আমাগো যা ইচ্ছা তা বুঝাইছে, আমরা অনেক সময় বুঝছি, অনেক সময় বুইঝাও না বুঝনের অথবা না বুইঝাও বুঝনের ভান করছি। আমরা বাহনের বেষ্টনীর ভিতর থেইকা কিন্তু আসলেই বুঝি না কোন পথে যাইতেছি! কিন্তু সারথীরাও কি জানে না? তাগো তো জানতেই হইবো...নাইলেতো তারা আমাগো সমেত পরবো সমূহ খাঁদে।
অনেক এ্যালিগরির মধ্য দিয়া এতোক্ষণ যা কইলাম তাতে সত্য হয়তো থাকে, কিন্তু দূরত্বও সূচীত হয় পাঠকের সাথে। তবু মনে হইলো একই কথা বারবার একইভাবে কইলে বিরক্তি তৈরী হয় বিধায় আমি একটু অন্যভাবে কওনের সুযোগ খুঁজি এইক্ষণে...কিন্তু আসল কথা হইলো আমাগো পূর্ববর্তী শাসকেরা যেমনে আমাগো চালাইতেছিলেন তার বিরুদ্ধে অনেক কথা কইয়া বর্তমানের উপদেষ্টা শাসকেরা আসলেন আমাগো সামনে...তারা আইসা এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন যে আমরা ভাবতে শুরু করতে বাধ্য হইলাম এই দেশ থেইকা দুর্নীতি সমূলে উৎপাটিত হইবার সম্ভাবনা তৈরী হইলো বোধকরি। আমরা যারা তাগো এই ভাষ্য নিয়া সন্দিহান ছিলাম তারাও প্রায়শঃ খুশী হইতাম দেশের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদেরা কথিত শাস্তি(!) পাইতেছেন বিধায়।
যদিও দ্রুত পরিস্থিতি মনে হয় পাল্টাইতে শুরু করলো...প্রথমে যুদ্ধাপরাধীগো বিচার তারপর সিডর ইফেক্টে যখন দেশের সাধারন মানুষেরা উদ্বেলিত...মানবতার ডাকে যখন মানুষ রাজনীতির কন্সপিরেসি থেইকা দৃষ্টি খানিকটা সরাইছে, তখনই শুরু হইলো অপরবাস্তবতার খেলা। আজকের পত্রিকায় যখন পড়লাম তারেক জিয়া আর তার ভাই কোকো জিয়া তাগো ছয় মামলার অর্ধেকের হাইকোর্ট অব্দি বিচারে জামিন পাইছে দূর্বল এজাহার আর চার্জশীটের কল্যাণে, তখন কি মনে হওয়াটা স্বাভাবিক না এই দেশে অন্য কোন বাস্তবতা তৈরীর প্রয়াস খুঁজতাছে এই দেশের বর্তমান শাসকেরা।
আমি শুরু থেইকাই কইছি এই সরকার আসলে বাতাবহ হিসাবে পরিস্থিতিরে ঘোলা করতেই আসছে। তারা তাগো মূল উদ্দেশ্য সামনে রাইখাই আগাইতেছে। দুর্নীতি নির্মূলের যেই এজেন্ডা যেই ডিজাইনে তারা উপস্থাপন করে সেইটার কোন ভিত্তি নাই...এইভাবে দৃষ্টান্তমূলকতা দিয়া বর্তমান আইন আর নির্বাহী ব্যবস্থা টিকাইয়া রাইখা দুর্নীতি আঙশিক অর্থেও নির্মূল করা যায় না।
রাস্ট্রের কন্সপিরেসী থিওরীর প্রয়োগ আর নির্দিষ্ট ধরণের ব্যবসায়িগো চাহিদা অনুযায়ী কিছু সুবিধা প্রদান ছাড়া তারা দেশের এমন কিছু পরিবর্তন করতাছে না...বরং এই সরকারের নিয়মে ব্যবসায়িরা নতুন বিনিয়োগে অনুৎসাহিত হইতেছে প্রতিনিয়তঃ। বিদ্যুতের সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারী উদ্যোগে বেসরকারী বিদ্যুৎ উৎপাদনরে প্রোমোট করতেছে। কিন্তু তাতে বিদ্যুৎ ব্যবসাই হইতেছে...প্রয়োজনীয় উৎপাদনমূখী ব্যবসা হইতেছে না।
তারা অন্যের দুর্নীতির কথা কইয়া নিজেগো কৌলিণ্য বজায় রাখতে সক্ষম হইতেছে ষোলআনা। নিজেগো মধ্যে সকল সঙ্কীর্ণতা রাইখা...বর্তমান সিস্টেমের প্রতি শতভাগ আনুগত্য রাইখা নতুন সিস্টেমের-পরিবর্তনের ইঙ্গিতবহ গল্প শুনাইতেছে আমাগো।
এইসব যে ভুজুং-ভাজুং সেইটা প্রায়শঃ'ই মনে হয় আমাগো...কিন্তু আশা রাখতে চাওয়া মানুষেরা ক্যান হতাশায় যাইবো!? তারাতো সামনে আগাইতে চায়...তারাতো চায় সকল নাগরিক অধিকারের প্রাপ্তির নিশ্চয়তা।
বিজয়ের মাসেও আমাগো চাইতে হয় যুদ্ধাপরাধের বিচার...আর সেই বিচারের দাবী পৌছানের সম্ভাবনা থাকে সেইসব শাসক প্রতিনিধির কানেই...যারা যুদ্ধাপরাধীগো বিচার চায় না। দেশের পূরা কাঠামোটাই এমনে পাল্টাইছে গতো ৩৬ বছরে...সকল সরকার দাঁড়াইয়া থাকছে কন্সপিরেসী দিয়া, সকল সরকারের পতন হইছে কন্সপিরেসীতেই। কেউ স্বাভাবিক পথে কোন পদক্ষেপের কথা ভাবতেই পারেনা। আর তাই তাগো বাহনে বিভ্রান্তি রচনা করে।
ছদ্মবেশে বিভ্রান্ত করে সকল মানুষরে...যারা এই বাহনে উঠছে মানুষ হিসাবে বাঁইচা থাকনের অধিকার পাইতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।