ইন্দোনেশিয়ায় কিছু শোকহত মানুষ কালো পোষাক পরে দাড়িয়ে আছেন লন সদৃশ একটি প্লটে। অপেক্ষায় আছে হয়ত এখনই চলে আসবে তাদের স্বজনের মৃতদেহ । লন সদৃস এ প্লটটির অবস্থান ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার পাহাড় ঘেরা সীমানার খুব কাছাকাছি।
শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শেষ। মানুষগুলো অলিম্পিক সাইজের একটি পুলে (সুইমিং পুলে) গোসল করলেন।
আনন্দের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তারা একটি নৌ বিহারেও অংশ নিলেন। এর পর ইটালিয়ান একটি রেস্টুরেন্টে তারা লাঞ্চও করেন।
ব্যাপারটি পুরোপুরিই অদ্ভুত। ইন্দোনেশিয়ায় যেখানে অসংখ্য মানুষ কবরের মাটির মূল্য পরিশোধ করতে না পারার দরুন দাফন করা লাশকে উঠিয়ে ফেলছে কর্তৃপক্ষ, সেখানে মৃত্যু নিয়ে এরকম আদ্ভুত বিনোদনের আয়োজন যে কাউকেই আলোড়িত করবে। জাকার্তার সীমানার কাছাকাছি ধনীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে এমনই সমাধি কাম এন্টারটেইনমেন্ট কমপ্লেক্স।
উদ্দেশ্য ধনীদের জন্য ফলক সমৃদ্ধ একটি কবর, যেটাকে ঘিরে রাখবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
জাকার্তা থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এ কমপ্লেক্সটি। বাইরোডে যেতে হলে কয়েক ঘন্টা লেগে যেতে পারে। কারণ ট্রাফিক জ্যামটা সেখানে ভয়াবহ। তাই ব্যাবস্থা করা হয়েছে হেলিকাপ্টারের।
তাদের এ মহৎ উদ্দেশ্যের পেছনে যে কি উদ্দেশ্যে লুকিয়ে আছে তা হয়ত পকেটে হাত দিলেই বোঝা যাবে।
ইতিমধ্যে ৬২ একর জমির উপর নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। আর পুরো প্লান্টটি সম্পন্ন করতে ১২৩৫.৫ একর জমির প্রয়োজন হবে। স্থানটির নাম দেয়া হয়েছে সান ডিয়েগো হিলস মেমোরিয়াল পার্ক। সেখানে রয়েছে পরিচ্ছন্ন ও গাছের ছায়া ঘেরা অপূর্ব রাস্তা।
হয়ত শোনা যাবে পাখির ডাক কিংবা দেখা যাবে স্ফটিক পানি। সান ডিয়েগো হিলসের এসোসিয়েট ডিরেক্টর সুজয়ানি জাপারডি বলেছেন, আমরা আমেরিকা ও ইওরোপের মেমোরিয়াল পার্ককে দেখে উদ্ভুদ্ধ হয়েছি। সেখানে কবরের সৌন্দর্যকে ভালোভাবে লালন করা হচ্ছে। রয়েছে পরিচ্ছন্ন বাগান যার সৌন্দর্য মৃত্যু সময়কার বিষাদ অনুভূতিকে দুর করে। আমরাও চেষ্টা করছি এমন কিছু তৈরীর যা মৃত্যের স্বজনদেরকে তাদের কবরের পাশে আসতে প্রলুব্ধ করবে।
কবর পরিদর্শন করার পর আমাদের কায়েন্টরা যাতে তাদের পরিবারসহ ইনজয় করতে পারে তার ব্যাবস্থাই আমরা রেখেছি। সে ক্ষেত্রে তারা রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে পারে কিংবা খেলা ধুলাও করতে পারে বলে জানালেন ওই নারী ডিরেক্টর।
সূত্র- যায়যায়দিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।