নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
বাজার নিয়ন্ত্রণে এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে আর্জেন্টাইনরা। দেশটিতে টমেটোর দামের উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছিল। গত সপ্তাহে হঠাৎ সেটা কেজিপ্রতি ১৮ পেসোতে (৬ মার্কিন ডলার) গিয়ে দাঁড়ায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে আর্জেন্টিনার কনজিউমার ও রিটেইলার এসোসিয়েশন সপ্তাজুড়ে টমেটো বয়কটের ডাক দেয়। সংস্থাটি যেহেতু ভোক্তা আর খুচরা বিক্রেতাদের, সেহেতু বর্জনে সাড়াও মিলল প্রচুর।
শেষতক সপ্তাহ ঘুরে টমেটোর দাম কমেছে ৩০ শতাংশ! সূত্র: এপি
দেশটির কনজিউমার ডিফেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পেড্রো বাসাত্তি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আশা করছি এ বয়কটের পর সবাই আবার টমেটো কিনতে পারবে। খুচরা ব্যবসায়ী সংগঠনের এক নেতা বলেছেন, আমরা বুঝতে পারছি না বয়কটের ডাক ঠিক কিনা, তবে এটা ঠিক; আমরা ওই চড়া দামে ভোক্তাদের কাছে টমেটো বিক্রিও করতে পারব না। সুতরাং এর দাম নিশ্চয়ই কমে আসবে।
এপি টেলিভিশন তাদের এক খবরে জানায়, দেশটির অত্যাধিক মুদ্রাস্ফীতিই দ্রব্যমূল্য বাড়ার মূল কারণ। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এটি প্রভাব ফেলতে পারে বলে তারা মনে করছে।
এতো গেল আর্জেন্টিনার কথা। এবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আসা যাক। ধনে পাতার কেজি কিছুদিন আগেও হাজার টাকা ছিল। আরেক ‘সেলিব্রেটি সবজি’ কাঁচামরিচ। বিক্রেতার নিজস্ব পূর্বাভাসে যার দাম বাড়ে হু-হু করে।
অন্যদিকে মাত্র এক সপ্তাহে গুঁড়োদুধের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০-৬০ টাকা। এই ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা কি আমাদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে? বিশেষ কয়েকটি পণ্য সাময়িক বয়কট করে রাতারাতি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা কি সম্ভব?
এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএম আকাশ জানান, ‘ভোক্তাদের কো-অপারেটিভ হতে হবে। সাপ্লাই চ্যানেলে দামের ৪০ শতাংশ মধ্যস্থভোগীরাই নিয়ে নিচ্ছে। এখন উৎপাদনকারীদের কো-অপারেটিভ করতে হবে। ’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ জানান, ‘সরকার ইচ্ছে করলে এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে।
উৎপাদনকারী থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যনত্ম মাঝের সকল পক্ষের প্রত্যক্ষ সংযোগহীনতাই পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। ভোক্তাসহ যেসব পক্ষ বাজারমূল্য পর্যবেক্ষণের সঙ্গে জড়িত তারা যদি আর্জেন্টিনার এ ঘটনা অনুকরণ করে তবে দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য স্বাভাবিক হতে বাধ্য। (আ.স.)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।