দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে
বিডিআর’র সাবেক মহাপরিচালক অবঃ মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন, দেশের বর্তমান ক্রান্তিকালে মহল বিশেষ কর্তৃক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি উদ্দেশ্যমূলক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বেকায়দায় ফেলে তাদের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানসহ অন্যান্য ভালো কাজে বাধা সৃষ্টি করে দেশে একটি ঘোলাটে পরিবেশ তৈরি করতে চায় এরা। তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি করছে তারা নিজেরাই স্বচ্ছ নয়। স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার দাবি করে তাদের এখন জাতির মুরব্বি বনে যাওয়া খুবই রহস্যজনক। দেশে একটি ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছে তারা।
তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে সেনাবাহিনী যে গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে, তাতে সবাইকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান।
গতকাল বারিধারার তার সংগঠন নির্দলীয় জনঅন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান এ সব কথা বলেন। চার বছর আগে গঠন করা তার এ দলের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে তার সাথে কাজ করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। ফজলুর রহমান গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে বলেন, এরা মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন, কী করেছিলেন জাতিকে নিয়ে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস পাকিস্তানে অবস্থান করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি (ড. কামাল) মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন কি না আমার জানা নেই। ’ অপরদিকে বি. চৌধুরী ৩৬ বছর আগে কী করেছিলেন তার অনুসন্ধান করা দরকার। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রচলিত আইনে সম্ভব। তিনি প্রশ্ন করেন, ৩৬ বছরে আওয়ামী লীগ বিএনপি কি করেছিল? তারা কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারল না? তিনি বিএনপি নেতা মীর শওকত আলীর একটি বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, কেন তিনি জিয়াউর রহমানের সময় বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন না। জিয়াউর রহমান যখন জামায়াতে ইসলামীর নেতা অধ্যাপক গোলাম আযমকে এ দেশে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেন, তখন তিনি (মীর শওকত) কেন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেননি? ফজলুর রহমান আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনারা তো ’৯৬ সালে জামায়াতের সাথে একত্রে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন, তখন কেন স্বাধীনতাবিরোধী বলে তাদের বিচার করেননি।
’ তিনি বলেন, শেখ মুজিব সবাইকে ক্ষমা করে দেননি। বিশেষ করে যারা গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িত ছিল তাদের বিনা বিচারে ছেড়ে দেয়ার কথা কখনো তিনি বলেননি। এসব কর্মকাণ্ডে তখন কারা জড়িত ছিল তার অনেক প্রমাণ বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রক্ষিত আছে বলে তিনি জানান।
ফজলুর রহমান ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি প্রসঙ্গে বলেন, ইসলামে কোথাও মানবতাবিরোধী কথা নেই। একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান এটি।
তিনি বলেন, ইসলাম যদি মৌলবাদ হয়ে থাকে তাহলে কমিউনিজমকেও মৌলবাদ বলতে হবে। কারণ কমিউনিস্টরা ভারতে কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তা সবাই জানে।
এখান থেকে নেয়া
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।