যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
দেশে যুদ্ধাপরাধী এবং স্বাধীনতা বিরোধী নেই দাবি করে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের দেওয়া বক্তব্যেকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলেছে দুটি সংগঠন।
'একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি' এবং 'মৌলবাদ ও সা¤প্রদায়িকতা বিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন'Ñএর নেতারা যৌথবিবৃতিতে একথা বলেছেন। তারা বলেন, "২৫ অক্টোবর জামায়াত নেতা মুজাহিদ সাংবাদিকদের সামনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা লাঞ্ছিত করে যে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল এবং যুদ্ধাপরাধ ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে মুজাহিদ অপরাধী। "
বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৭ (৩) ধারায় সামরিক ও অসামরিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে জানিয়ে সংগঠন দুটির নেতার বলেছেন, "মুজাহিদরা পাকিস্তানকে নিজের দেশ মনে করে বলে বাংলাদেশের সংবিধান পড়েও দেখেনি। "
যৌথবিবৃতিটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমসহ গণমাধ্যমগুলোতে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন শাহরিয়ার কবির। এতে আরও হয়েছে, "আমরা মুজাহিদের বক্তব্য কেবল ধৃষ্ঠতাপূর্ণ নয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, চেতনা এবং বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর ঘৃণ্য আঘাতের শামিল বলে মনে করি। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় ৩০ লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং দুই লাখের বেশি নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন, লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় তা সর্বজনবিদিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকাশিত জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের পাতায় পাতায় তাদের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়। "
জামায়াত গণহত্যা ও নির্যাতনে পাকিস্তানী বাহিনীকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে ঘাতক বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে জানিয়ে বলা হয় "ইতিহাসের এ সত্যকে অস্বীকার করার অর্থ মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা।
"
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, নারীনেত্রী হেনাদাস, বিচারপতি কে এম সোবহান, অ্যাডভোকেট গাজীউল হক, সঙ্গীতশিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক অজয় রায়, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সি আর দত্ত, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, লেখক সৈয়দ শামসুল হক, ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, অধ্যাপক অনুপম সেন, কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, শিল্পী আবুল বারক আলভী, সাংবাদিক কামাল লোহানী প্রমুখ।
বিডিনিউজ থেকে প্রাপ্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।