আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেমস ব্রাউন : গডফাদার অফ সোল (পর্ব ২)

বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে

১৯৭০-এর দশকে জেমস ব্রাউনের সফলতা জেমস ব্রাউন তার ব্যান্ডকে আর্মির মতো মনে করতেন। উপস্থিত হতে দেরি হলে জরিমানা নেয়ার ব্যবস্থা ছিল। ষাটের দশকের শুরুতে তার সুনাম বাড়তে থাকে। এ জনপ্রিয়তা তাকে ব্ল্যাক মিউজিকের মক্কা হারলেম অ্যাপোলো থিয়েটারে জনাকীর্ণ পরিবেশে পারফর্ম করার সুযোগ করে দেয়। ১৯৬১ সালে তিনি উপলব্ধি করতে পারেন, সঙ্গীতে তার অবদান হয়তো কেবল জীবিত অবস্থাতেই টিকে থাকবে।

ব্রাউন তখন থিয়েটারটিতে তার পারফরম্যান্স রেকর্ডিং করে অ্যালবাম বের করতে ব্যক্তিগতভাবে অর্থ প্রদান করেন। ফলস্বরূপ অ্যাপোলোতে প্রথা ভাঙা জেমস ব্রাউনের লাইভ শো সেনসেশন হয়ে দাড়ায়। সারা আমেরিকায় তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হিট কিছু অ্যালবাম রিলিজের পর তার মর্যাদা অনেক বেড়ে যায়। এই হিট তালিকায় আছে পাপাস গট এ ব্র্যান্ড নিউ ব্যাগ, আই গট ইউ (আই ফিল গুড) এবং গেট আপ (আই ফিল লাইক বিইং এ সেক্স মেশিন)।

প্রেসিডেনশিয়াল থ্যাংকস শৈল্পিকভাবে জেমস ব্রাউন নতুন মিউজিকাল ফর্ম গঠন করে নতুন গ্রাউন্ড তৈরি করেন। আর এটি হলো আবেগময় ও দ্রুত লয়ের মিউজিক। কোল্ড সুইট-এর মতো গান, যেখানে ব্রাস সেকশন এবং গিটার রিদম তৈরি করেছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ শৈলীগত এ পরিবর্তনটি ব্রাউনকে আবেগতাড়িত করেছে। এ সময়ের সফলতার কারণে প্রচুর সম্পদের মালিক হন জেমস ব্রাউন।

তখন তার নিজের রেডিও স্টেশন হয়, ফাস্ট ফুডের রেস্টুরেন্ট হয় এবং একটি নিজস্ব জেট বিমান হয়। তিনি তারপর ব্ল্যাক ক্যাপিটালিজমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে তাকে জেলে যেতে হয়। জেল থেকে ফিরে এসে তিনি গরিবদের জন্য ফুড স্টাম্পের স্পন্সর করা শুরু করেন। এর পাশাপাশি তিনি যাদের প্রয়োজন তাদের অর্থ এবং জমি দিতে থাকেন।

বিশেষ করে আফৃকায় তিনি এ কাজটি করেন। যদিও কিছু প্রগতিবাদী তখন তার স্বদেশানুরাগের জন্য তাকে সমালোচনা করে। ভিয়েতনামে আমেরিকার সেনা দলের জন্য বাজানোয় তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। মার্টিন লুথার কিং আততায়ীর হাতে ১৯৬৮ সালে নিহত হলে এ ঘটনায় জেমস ব্রাউন প্রভাবিত হন। তিনি তখন বস্টনে লাইভ শো করেন।

যা আমেরিকা জুড়ে লাইভ ব্রডকাস্ট করা হয়। তার শো জনক্ষোভের স্রোত থামাতে সাহায্য করে। প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জোহানসনের কাছ থেকে তিনি তখন ব্যক্তিগত ধন্যবাদ লাভ করেন। সূত্র : বিবিসি। অনুবাদ : একরামুল হক শামীম


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।