বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
আমেরিকায় বসবাস
১৯৭০-এর দশক জেমস ব্রাউনের জন্য দুঃসময় ছিল। তার ছেলে টেডি এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তিনি নিজে ট্যাক্স এবং ডিসকো মিউজিকের সমস্যায় পড়েন। এটি তার ক্যারিয়ারের ঔজ্জ্বল্যকে ম্লান করে দেয়।
কাব সার্কিটে তার কঠিন পরিশ্রম তাকে কিনার থেকে ফিরিয়ে আনে।
পরিবর্তিত হয় তার জীবনের গতিপথ। ১৯৮০ সালে ‘দি ব্লু ব্রাদার্স’ মুভিতে গায়ক-প্রচারক হিসেবে একটি সংক্ষিপ্ত চরিত্র তার মিউজিককে অন্য প্রজন্মে নিয়ে যায়।
১৯৯৯ সালে জেমস ব্রাউনের পারফরম্যান্স
সারা জীবন জেমস ব্রাউন সঙ্গীতে সদর্পে পদচারণা করেছেন। এমনকি তার ষাট বছর বয়সেও। তার করা গান বেচে আছে আমেরিকায়।
যে গান আমেরিকার স্বপ্নকে উজ্জ্বল করে তোলে। রক অ্যান্ড রোল-এর অভিধায় অভিষিক্ত হওয়া শিল্পীদের মধ্যে জেমস ব্রাউন ছিলেন প্রথম দিকের।
তবে আত্মবিনাশের ক্ষেত্রে ব্রাউনের ক্ষমতা খুবই বিপজ্জনক ছিল। ১৯৮৮ সালে পুলিশ ধাওয়া করে তাকে। দুর্ঘটনাবশত তার সঙ্গে একটি শটগান ছিল।
এর ফলে তিনি আড়াই বছর জেলে কাটান। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবার তিনি সঙ্গীতে মনোনিবেশ করেন। এ সময় তিনি র্যাপ এবং হিপহপ মিউজিক নিয়ে প্রচুর কাজ করেন। সেন্ট্রাল মিউজিকাল ইনোভেটর হিসেবে তার ভূমিকা ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পায়। এতোটা আগে কখনোই পায়নি।
তার কিছু ভুল সত্ত্বেও জেমস ব্রাউন সমগ্র আফ্রো-আমেরিকান প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রোল মডেল ছিলেন। তিনি দারিদ্র্য এবং রেসিজমের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছেন। তার একটি হিট অ্যালবামের টাইটেলই তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বলে দেয়। টাইটেলটি হলো, ‘সে ইট লাউড, আই অ্যাম ব্ল্যাক অ্যান্ড আই অ্যাম প্রাউড। ’
জোরেশোরে বলোÑ আমি কালো এবং আমি গর্বিত।
সূত্র : বিবিসি।
(শেষ)
অনুবাদ : একরামুল হক শামীম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।