আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিপুর তাড়নায় ছেলেবেলায়-৪ (কঠোর ভাবে প্রাপ্ত বয়স্কেদের জন্য)



(কঠোর ভাবে প্রাপ্ত বয়স্কেদের জন্য) আমাদের বান্গালী জীবনে যৌনতা এবং কাম দুটোই অশ্লীল শব্দ। আমরা নিজেদের সাথে প্রবন্চনার মাধ্যমে কামভাব আর তার আদান প্রদানকে গোপন করি। আমাদের ভালবাসার মধ্যে কাম অনুপস্হিত, আমাদের প্রেম নিষ্কাম। এর কারন যে কোন প্রকার কামকে বাজে বলে চিহ্নিতকরন। এর কারনেই যে বয়সে ছেলেদের মেয়েদের স্তন নিয়ে খেলার কথা সে বয়সে নিজেদের অন্ডকোষ নিয়ে খেলে আর এর কারনেই কাম সম্পর্কে আমরা একটি বিকৃত মনোভাব নিয়ে বড় হই।

কাম গোপন এর বিস্তার না হওয়াই ভাল, আমরা বড় হই একটি ধারনা নিয়ে যে এ নেসসারি শয়তানীর মধ্যে আমাদের মানব জীবন যাপন করতে হবে। আমার বড় হওয়ার সময় আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার শারিরীক পরিবর্তন হচ্চে কিন্তু সে পরিবর্তনের হেতু কি এবং কিভাবে বয়ঃসন্ধির সমস্যা গুলো কাটিয়ে উঠবো সে সম্পর্কে কোন প্রকার ধারনা ছিলনা। ফলঃশ্রুতিতে আমাকে সাহায্য নিতে হয়েছিল বিভিন্ন রকম বই এবং পর্ন ছবির। রসময় গুপ্তের যে কোন গল্প বাংলা সাহিত্য সুবিচার পাবেনা কিন্তু হাজার হাজার ছেলেকে কিছুটা কাম শিক্ষা দেবার কারনে রসময় গুপ্তকে জাতীয় শিক্ষা পুরষ্কার দেবার কথা ভাবতে পারেন কর্তারা। রসময় গুপ্তের পাশের বাড়ির মেয়ে আমার পড়া প্রথম পর্ন বই।

( কারো সংগ্রহে থাকলে মেইল করুন) কেনা সহজ, পড়াও সহজ কিন্তু সংরক্ষন অতীব কঠিন। নিজের পড়ার টেবিলে রাখলে পিতার হাতে ধরা খাবার কঠিন সম্ভবনা। বাড়ির যে কোন জায়গায় রাখা বিপদজনক কেননা বান্গালী জীবনে কাম আর কামভাব দুটোর আস্তানা আস্তাকুড়ে। শেষে নির্মায়মান পাচ তলা বাড়ী ছাদের চিলে কোঠায় লুকানো হলো। কিন্তু যে শিক্ষা রসময় গুপ্ত দিলেন সে শিক্ষা লুকাবো কিভাবে, এ রহস্য আবিষ্কারের পরে পাশের বাড়ীর মেয়ের দিকে তাকানো সত্যিকার অর্থে কঠিন হয়ে গেলো।

এ কি বিপদে পড়লাম, মেয়েদের বুকের দিকে তাকালে চোখ টাটায়, নিতম্ব মনে করিয়ে উল্টো দিকে জংঘার মাঝখানে রয়েছে মুক্তির উপায়। বয়ঃসন্ধিতে কামভাব জাগ্রত হয় কিন্তু তার নিবারনের উপায় খুবই কম বা না বললেই চলে, এর পরে রয়েছে নিত্যদিনের প্রেসার, ৬ নম্বর বাসে উঠলে ধনেশ পাখীর আর শিয়ালের তেলের বিজ্ঞাপন। নিজ মুক্তির উপায় নিলে ভবিষ্যতে তেল মাখতে হতে পারে এ ভয়ে ভীত। চলবে যদি পাবলিক খায়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।