কেএসআমীন ব্লগ
অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী এখন জেলে নয়তো পলাতক, নয়তো বিদেশে। বেক্সিমকো-তে ৫/৬ মাস ধরে বেতন হয় না। বসুন্ধরার অবস্থাও প্রায় এক। যমুনা গ্রুপের অবস্থা ভাল নয়। পারটেক্স সুগার মিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
৫০০ লোক বেকার হয়ে গেল। এভাবে অসংখ্য ব্যবসায়ী গ্রুপের নাম উল্লেখ করা যায়। যে সকল ব্যবসায়ীরা এতদিন কোটি কোটি টাকা ট্যাক্স দিয়ে, লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করে দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছেন, তাদের আজ একি হাল!!! তারা জেলে কিংবা পলাতক কেন? দেশের জন্য কি তাদের কোনই অবদান নেই? হতে পারে অনেকে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন, কিন্তু এর জন্য দায়ী প্রকৃতপক্ষে কারা? শুধুই ব্যবসায়ীরা?
আমারতো মনে হয়, কর আদায়কারীরা দায়ী কম দায়ী নয়। তারা সুযোগ না দিলে এমনটি হওয়ার কথা নয়।
যা হোক, ট্যাক্স প্রদান করার মত প্রকৃত পরিবেশ এতদিন দেশে ছিল না, একথা প্রত্যেকেই স্বীকার করবেন।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এক নতুন আশার আলো জেগেছে হয়তো। এখন সবাইকে ট্যাক্স প্রদানে সরকারের প্রথমে উত্তসাহিত করতে হবে। ট্যাক্স ফাঁকিবাজদের জরিমানা করতে হবে। আস্তে আস্তে দড়ি টাইট দিতে হবে। হঠাত্ত বেশী টাইট দিলে তো দড়িই ছিড়ে যাবে।
হয়েছেও তাই।
দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থার জন্য এটাই অন্যতম প্রধান কারণ।
ব্যবসায়ীদের মর্যাদা দিন। আমাদের নবীজিও একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তাই ব্যবসা পবিত্র পেশা।
এই পেশার মানকে সমুন্নত রাখতে হবে। ব্যবসায়ীরা সবাই চোর, এমন মনোভাব সরকারকে পরিত্যাগ করতে হবে।
প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দিন। যাদের গ্রস ম্যানিপুলেশন আছে তাদের জরিমানা করুন। ব্যবসায় বেশী মনোযোগ দিতে পরামর্শ দিন।
প্রয়োজনে ব্যাংকের সাহায্য নিতে বলুন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ইতিবাচক উন্নতি হবে নিশ্চয়ই।
তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে আরও অনেক মিল/কারখানা/প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। বেকারের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বাড়বে। সরকার তখন পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।