ব্যতিক্রমী এক গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হলো হবিগঞ্জ শহরে। এতে অসহায় আট যুবতীর সঙ্গে জুটি বাঁধলেন আট যুবক। বিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমে উৎসুক নারী-পুরুষ-শিশুর। হবিগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শহরের শায়েস্তানগরে অবস্থিত পৌরসভা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এ বিয়ে। আলোচিত এই বিয়ে অনুষ্ঠানের কাজী ছিলেন মাওলানা জসীম উদ্দিন।
আর এমন একটি মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল হবিগঞ্জ পৌরসভা। কিন্তু আর বিয়ের আসরে বসা সৌভাগ্যবান-সৌভাগ্যবতী কারা? এরা হচ্ছেন বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের ঈদু মিয়ার ছেলে দিলু মিয়া; তিনি বরণ করেছেন সদরের দানিয়ালপুর গ্রামের আনোয়ার আলীর মেয়ে হামিদা বেগমকে। সদরের ওয়ারিশ উল্লার ছেলে মিন্টু মিয়ার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন একই উপজেলার তেঘরিয়ার দোস্ত মোহাম্মদের মেয়ে কোহিনুর বেগম। সদরের ইনাতাবাদের মোবারক মিয়ার ছেলে ছুরত আলী গ্রহণ করেছেন একই এলাকার আবদুল কুদ্দুছের মেয়ে সামসুন নাহার লাকীকে। বাহুবল উপজেলার তারাপাশা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আবু মিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সদরের উমেদনগর পুরাতনহাটির সোবান মিয়ার মেয়ে আমিনা বেগম।
বানিয়াচং উপজেলার পাঠানটুলা গ্রামের শিতাব উল্লাহর ছেলে মনু মিয়া বরণ করেছেন সদরের খোয়াইমুখ সড়ক এলাকার আলাই মিয়ার মেয়ে পারভীন আক্তারকে।
দিরাই উপজেলার ধাইপুর গ্রামের মনর মিয়ার ছেলে আবু মিয়া ঘরে এনেছেন সদরের শায়েস্তানগরের আবদুস শহীদের মেয়ে শামেলা বেগমকে। সদরের উমেদনগরের সত্তার মিয়ার ছেলে সমুজ মিয়ার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন মোহনপুরের সেতু মিয়ার মেয়ে নাজু আক্তার। সদরের নারায়ণতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে উমর ফারুক জীবনসঙ্গী করেছেন শায়েস্তানগরের আরজু মিয়ার মেয়ে আমিনা খাতুনকে। আলোচিত এ গণবিয়েতে উপস্থিত হয়ে শহরবাসীর অনেকেই নবদম্পতিদের হাতে তুলে দেন বিভিন্ন উপহারসামগ্রী।
বিয়ে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি ফজলুর রহমান, দৈনিক খোয়াই সম্পাদক শামীম আহছান, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আবদুল বারী লস্কর, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ইসলাম তরফদার তনু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর আবদুল আউয়াল মজনু ও লাভলী সুলতানা প্রমুখ। গণবিয়ে অনুষ্ঠান সম্পর্কে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ জি কে গউছ বলেন, শহরে অনেক অসহায়-দরিদ্র কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা রয়েছেন, যারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সন্তানদের পাত্রস্থ করতে পারেন না। তাদের কথা চিন্তা করেই পৌরসভার এ আয়োজন। তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতি বছরই এ ধরনের গণবিয়ের আয়োজন করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।