সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...
বাংলাদেশ চা বোর্ডের আওতাধীন বিলাসছড়া মডেল ফাম এলাকায় গড়ে তোলা আগর বাগান পরিপক্ক হয়ে উঠেছে। এখন গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণের জন্য বন বিভাগের সহায়তায় মাপজোক ও হিসাব নিকাশ শুরু করেছে চা বোর্ড।
চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৭-৭৮ সালে বিলাসছড়া মডেল ফার্মের চা চাষ অনুপযোগী ৪ দশমিক ০৫ হেক্টর জমিতে ১৬ শত ২৮টি আগর চারা রোপণ কার হয়। এই গবেষনাধর্মী কাজে সহায়তা করে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)। কিন্তু সে সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় উন্নয়ন বোর্ডের আর্থিক সহায়তায় আগর বাগান গড়ে তোলার পর পৃথক ব্যয় বরাদ্দ না থাকায় ও আগর চাষাবাদ ও গবেষণা বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না থাকায় সেখানেই থমকে যায় আগর চাষ।
এ পরিস্থিতিতে শুধু আগর প্লান্টেশন হিসাবেই গাছগুলো বেড়ে উঠে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের পর আগর চাষাবাদের ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠে চা বোর্ড। বিলাশছড়া মডেল ফার্মে রোপনকৃত আগর গাছগুলো ২০০৩ সালে বিক্রির জন্য প্রথম উদ্যোগ গ্রহন করে চা বোর্ড এবং এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়।
কিন্তু বিলাসছড়া আগর বাগানের গাছগুলোর কতটিতে , কি পরিমাণ আগর জন্মেছে এবং এর প্রকৃত মূল্য কত হতে পারে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা বিটিআরআই, এমনকি স্থানীয় বন বিভাগেরও নেই। সূত্র জানায়, আগর গাছ বিক্রির সর্বশেষ উদ্যোগ হিসাবে স্থানীয় বন বিভাগের সহায়তায় গাছগুলোর মূল্য নির্ধারণী কাজ সম্প্রতি শুরু হয়েছে।
মোট ১৬শত ২৮টি গাছের মূল অংশের সাথে ৯১৭টি কাণ্ড মিলিয়ে ২৫শত ৪৫টি অংশ গণনা করা হয়েছে।
স্থানীয় বন বিভাগের যেহেতু এই মূল্যবান সুগন্ধী আগরের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের কোন কারিগরি পদ্ধতি জানা নেই, সেহেতু বন বিভাগ কর্তৃক ইতিপূর্বে জব্দ করা যেসব চোরাই আগর গাছ বিক্রি করা হয়েছে সেসব গাছ থেকে প্রাপ্ত দামের নিরিখে বিলাসছড়ার এসব গাছের আনুমানিক মূল্য নির্ণয় করা হবে বলে বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।