নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে। (লেখাটা লিটনচন্দ্র ভৌমিকের ফেইসবুকস্ট্যাটাস থেকে নেওয়া)
দোষটা মডেল মেহজাবিনের না; আমাদের কর্পোরেট সিস্টেমের। ।
কর্পোরেট আমাদের মডেলদের শুধু পণ্য নয়; মেধাশুন্যও বানাচ্ছে । ।
কর্পোরেট ওয়াল্ড যেহেতু মানুষকে দু'ধরনের করে রাখতে চায়- পণ্যক্রেতা আর পণ্যবিক্রেতা।
তাই দুপক্ষের সংযোগের জন্য দরকার- ধুমধারাক্কা মডেল।
সে মডেলদের হতে হবে ডলডান্সের পুতুলটির মত; কর্পোরেট তাদের হাতে পণ্য তুলে দিয়ে- নাচাবে, ঝাঁকাবে, মাতাবে। সেজন্য মডেলদের দরকার কেবল- বাঁক, ভাঁজ, চকচকে ত্...বক, মাংসপেশীর হাসি । ।
আর ধ্বংস করে দিতে হবে তার বোধ, চিন্তা, অনুভুতি, সৃষ্টিশীলতা সাধারন মানুষের সাথে সমস্ত সম্পৃক্ততা।
তাকে আড়াল করে রাখতে হবে- উত্তেজক, ঝলমলে শোবিজ জগতে। বানাতে হবে সুপারস্টার, সুপারহিট তারকা। ক্রমশ সে হয়ে পড়ে কর্পোরেট কোম্পানির আধুনিক দাস।
সে উপস্থিত হবে কেবল আধুনিক মিডিয়াতে; সাধারনরা কেবলি তার রুপমুগ্ধ হবে।
সেজন্য এখানে অভিনেতা, অভিনেত্রী, মডেল সবাইকে দুরথেকে
বেশ বড়ো দেখায়; চোখে চমক জাগে; কিন্তু কাছে গেলে ধরা পড়ে তারা অতি ক্ষুদ্র-বামন মাত্র। ।
যে কর্পোরেট সিস্টেম
পণ্যপ্রচারের স্বার্থে মডেলদের বানিয়ে রাখে শরীর আর পারপিউম সর্বস্ব প্রতিমূর্তি;
আর চিন্তা-চেতনা-অনুভুতি সবদিকদিয়ে রুপান্তরিত হয় অবিকশিত, অপরিপক্ক বনসাইয়ে। ।
সেখানে কোন মডেল তার নিবুদ্ধিতা, বোকামি, মূর্খতার জন্য যতটুক না দায়ী;
তারচে বেশী দায়ী কর্পোরেট সিস্টেম।
।
সেজন্য মডেলটির শরীর নিয়ে উপহাস করে; পুরনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে নোংরা আলোচনা করে; আমরা নিজেদের আরও নির্বোধ, অবিবেচক, মূর্খ হিসেবে উপস্থাপিত করছি । । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।