One of the things I keep learning is that the secret of being happy is doing things for other people.
সাহিত্যের পাতায় কবিতার ছড়াছড়ি। কিন্তু সত্যি করে বলুনতো-কয়টি কবিতার লাইন,আমাদের হৃদয় পটে ধ্রুবতারার মতো জ্বলজ্বল করে। বিশেষ করে বর্তমান আধুনিক কবিতা। এসব কবিতার লাইন,হ্য়তোবা আমরা বুঝি, নতুবা না বুঝে বুঝার ভান করি। এক মহাসমুদ্রে ডুব দিয়ে একটি নুড়ি পাথরও তুলে আনতে পারিনা যা আমার হৃদয়ের মনিকোটায় দীপ্তিমান হতে পারে।
আমার এক শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক বন্ধু -আমাকে পরিহাস করে বলেন-এ তোমার ব্যর্থতা। বোর্ড স্ট্যান্ড করা,আর কবিতা বুঝা সমান না,তাহলেতো সবাই কাব্য বিশারদ হয়ে যেতো। আর শুধু তোমার হৃদয় না পুরো ড্রয়িং রুম নুড়ি-পাথরে ভরে যেতো।
আমি বলি তথাস্ত। কিন্তু শেষের কবিতা যে আমার মনে শীতল পরশ দেয়,জীবনানন্দ মনে দারুন প্রশান্তি আনে।
"যতদূরে যেতে চাই,পারিনা, চলে আসি কাছে,
তোমার গায়ের সাথে,আমার গায়ের গন্ধ লেগে আছে"।
"আকাশ ছড়িয়ে আছে আকাশে-আকাশে। "
"ভালোবাসার কাব্য শুনে কাশ জড়েছে যেই
দেখি আমার কাশের রাণী কাশ বনে আর নেই"
"অস্ট প্রহর কষ্ট করে নস্ট হলো যে রজনী,
সে কষ্টের সৃষ্টি কোথায় বুজলনা যে কোন সজনী"।
এসব ছন্দময় ম্যজিক লাইনতো আমি ভালো করেই বুজি। শুধু বুজিনা "তাপসও তীক্ষন সারমেয় নমস্য হুতাসন,
সৃষ্টির আগোয়ান, কেন উজ্জীবন।
"
আমি মহাসমুদ্রে হারিয়ে যাই।
অভিধানের শব্দকোষ খুঁজে খুঁজে মরি। কবিতার বর্ম ভাঙতে গিয়ে
আমি ক্ষত-বিক্ষত হই। ঘামের লোনা জলে অবগাহন করেও হীমশীতল প্রশান্তির সুবাতাস পাইনা।
রবিঠাকুর যেমন বলতেন-শব্দ নিয়ে এতো জুরাজুরি কেনো করো বাপু।
কবিতার পংক্তিকে ঝরণার সফটিক স্বচ্ছ জলের মতো ছেড়ে দাও,দেখবে সতত কেমন ফলগুধারার মতন বহমান হচ্ছে।
সত্যিই তাই। দীর্ঘ পথযাত্রী মরুর ক্লান্ত পথিক যখন বৃক্ষের নীচে এসে প্রাণ জুড়ায়,পাখী শিষ দিয়ে যায়,-কবিতার পংক্তিও তেমনি মনের অবসন্নতা,বিষাদ দূর করে দেয়। আল মাহমুদ যেমন -বলেন: "আমি সেই হতভাগা কবিদের একজন যারা একটি লাইনের জন্য সারারাত বিনিদ্র রজনী পার করে দেয়"
আর গদ্য কবিতার মুখোস পড়ে বর্তমান কবিতা হয়েছে "কাব্যন্ধ"
মানে অর্ধেক কবিতা আর অর্ধেক প্রবন্ধ। নিউইয়র্কের এক কবি বন্ধু মজা করে বলে-ভালো কবিতা লিখার টিপস হলো-একটি প্রবন্ধকে চার ভাগ করে চার পত্রিকায় পাঠিয়ে দেয়া।
এবং তা যতবেশী দুর্ভেদ্য হবে, সম্পাদকের চোখে তা ততবেশী আদৃত।
(চলমান)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।