আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাদরামী বয়সে রোজার দিনের সেই দিনগুলি !

নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .

রোজা মানেই বাড়তি আনন্দ ছিল, বিশেষ করে রোজার মাসটা, রোজা থাকতাম আর নাই থাকতাম কিন্তু মাস শেষে ঈদের আনন্দের অনুভূতিতেই মেতে থাকাটাই মুখ্য ছিল, যখনকার কথা বলছি, সেই ছোটবেলার কথা, কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই রোজা, ইফতার, সেহেরী কে ঘিরে। সুখ-কষ্ট মিশ্রিত এ নাতিশীতোষ্ণ অনুভূতি গুলো এখনও স্মৃতির পটে তেমনই সজীব আছে যেমনটা খুব সহজেই মনে পড়ে যায়, নিয়ে যায় বর্তমান থেকে ফেলে আসা সেই অতীতের দিনগুলিতে ..... বাদঁর চিনেন ? বাদঁর না চিনলেও বাদঁরের হাড্ডি যে কারও কারও শরীরে থাকে সে কথা নিশ্চয় শুনেছেন, আমারও না কি দু-একটি হাড্ডি কোন একভাবে আগেই সংযোজন ছিল ! যার কারণে বাদরের বাদরামীটাও সাথেই ছিল সবসময়ের জন্য, রোজার এই মাসকে ও ঘিরে কম বাদরামী করিনি আজ অনেকদিন পর সেসব স্মৃতিরই কিছু .......... যেমন, মা ওই রাতে উঠে সেহেরী খেতে দিবেন না, সামনে পরীক্ষা এমনিতেই বয়সটাও তেমন বেশী না, কিন্তু আর যাই হোক সেহেরী খেয়ে রোজা রাখতেই হবে, যদি না ডাকত তাহলে পরেরদিন আর সারাদিন কিছুই খেতাম না, সারাদিন উপোস থাকতাম, একবার এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি, পর পর ৪দিন জ্বরে পুড়েছিলাম। যখন বড় হয়ে রোজা রেখেছি, সকালে ঘুম থেকে উঠেই মাকে জিজ্ঞেস করতাম,আর কতক্ষন ইফতারীর বাকী আছে, মা তো হেসেই খুন হতেন ! তারপর সকাল, দুপুর হলেই মা আর কিন্তু বেশী সময় নেই ইফতারীর মাত্র ৭ ঘন্টা বাকী, এভাবে সারাদিন প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় মা’কে আপডেট করতাম। এমনও কিছু কিছু দিন গিয়েছে, যখন খুব খিদে পেয়েছি, রোজার মধ্যেই খেয়ে নিয়েছি, বাসায় ফিরলে মা চেহারা দেখেই বুঝতে পারতেন, কিছু একটা হয়েছে, জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যেতাম, আর ইফতারের সময় অন্য সব দিনের তুলনায় আগে ভাগেই অযু, টুপি পড়ে ইফতারীর সামনে বসে পড়তাম, যেন মনে হত কি নেক বান্দা !!! একদিন তো ক্যাসেটে ‘আযান’ রেকর্ড করে রাখি, তারপর ইফতারী হবার মিনিট ৫ আগে তা জোড়ে চালিয়ে দিই, আশেপাশে ফ্লাটে যারাই আযান শুনেছিলেন সবাই ইফতারী করে ফেলেন, কিন্তু আসলে তখন তো আযানই দেয়নি, অথচ সবাইকে আগেই ইফতারী করিয়েছিলাম। আরও কত স্মৃতিতে মরচে পড়ে আছে, তার ইয়াত্তা নেই, তারপরেও স্মৃতি, শুধুই স্মৃতি !

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।