অধিকার লংঘন ও প্রতিকার:
১। সাংবিধানিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত
২। ভূমি হতে বেদখল
৩। সামরিক নিপীড়ন
৪। ধমীর্য় নিপীড়ন
৫।
সাংস্কৃতিক নিপীড়ন
৬। ধর্ষণ
৭। চাকুরীর অধিকার থেকে বঞ্চিত
৮। শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত
সাংবিধানিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত:
বাংলাদেশের সংবিধান একভাষা এবং একজাতি ভিত্তিক।
সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ায় এবং অন্যান্য ধর্মের উল্লেখ না থাকার ফলে অন্যান্য জাতিগত, ধর্মীয় ও লিঙ্গগত সংখ্যালঘুরা সাংবিধানিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অন্যদিকে সংবিধান বিশ্লেষণ করলে যে জাতীয় সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায় তা বাঙালী সংস্কৃতি।
বাঙালীরা এদেশে সংখ্যাগুরু। তারা সবসময় ক্ষমতার কাছাকাছি। তাদের সংস্কৃতি রক্ষার প্রয়োজন পড়েনা-যেমনটা প্রয়োজন পড়ে সংখ্যালঘুদের ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার। তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নাই।
প্রতিকার:
বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২। (১)- কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে এই সংবিধানের ৩য় ভাগের দ্বারা অপির্ত অধিকারসমূহের(মৌলিক অধিকার অনুচ্ছেদ ২৬-৪৭) যে কোন একটি বলবত্ করিবার জন্য প্রজাতন্ত্রের বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিসহ যে কোন ব্যক্তি বা কতৃর্পক্ষকে হাইকোর্ট বিভাগ উপযুক্ত নির্দেশাবলী বা আদেশাবলী দান করিতে পারিবেন।
(২) হাইকোর্ট বিভাগের নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আইনের দ্বার অন্যকোন সমফলপ্রদ বিধান করা হয় নাই, তাহা হইলে
(ক) যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে
(অ) প্রজাতন্ত্র বা কোন স্থানীয় কতৃর্পক্ষের বিষয়াবলীর সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন দায়িত্ব পালনে রত ব্যক্তিকে আইনের দ্বারা অনুমোদিত নয়, এমন কোন কার্য করা হ্ইতে বিরত রাখিবার জন্য কিংবা আইনের দ্বারা তাঁহার করণীয় কার্য করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিয়া; অথবা
(আ) প্রজাতন্ত্র বা কোন স্থানীয় কতৃর্পক্ষের বিষয়াবলীর সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন দায়িত্ব পালনে রত ব্যক্তির কৃত কোন কার্য বা গৃহীত কোন কার্যধারা আইনসংগত কতৃর্ত্ব ব্যতিরেকে করা হইয়াছে বা গৃহীত হইয়াছে ও তাহার কোন আইনগত কার্যকারিতা নাই বলিয়া ঘোষণা করিয়া
উক্ত বিভাগ আদেশদান করিতে পারিবেন; অথবা
(খ) যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনক্রমে
(অ) আইনসংগত কতৃর্ত্ব ব্যতিরেকে বা বেআইনী উপায়ে কোন ব্যক্তিকে প্রহরায় আটক রাখা হয় নাই বলিয়া যাহাতে উক্ত বিভাগের নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইতে পারে সেইজন্য প্রহরায় আটক উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত বিভাগের সম্মুখে আনয়নের নির্দেশ প্রদান করিয়া; অথবা
(আ) কোন সরকারী পদে আসীন বা আসীন বলিয়া বিবেচিত কোন ব্যক্তিকে তিনি কোন্ কতৃর্ত্ববলে অনুরূপ পদমর্যদায় অধিষ্ঠানের দাবী করিতেছেন, তাহা প্রদর্শনের নির্দেশ প্রদান করিয়া
উক্ত বিভাগ আদেশদান করিতে পারিবেন।
২.ভূমি হতে বেদখল:
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে ভূমির স্বল্পতা একটি সাধারণ সমস্যা। বহু মানুষের আবাদ করার জন্য এক টুকরো জমিও নেই।
এই অবস্থায় আদিবাসীদের সমস্যা আরো মারাত্মক । আদিবাসীদের জীবনের সাথে ভূমি-মালিকানার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। যেহেতু উপাজর্নের অন্য কোন পেশা তার জানা নেই, পথ খোলা নেই সেহেতু এগিয়ে থাকা বড় জনগোষ্ঠীর জ্ঞান-বুদ্ধির সামনে আদিবাসীরা খুবই অসহায়। ভূমির উপর নির্ভর করেই তারা বেঁচে থাকে। উপরন্তু তাদের দুবর্ল অথর্নীতির কারণেও বড় জনগোষ্ঠীর কাছে তাদের একমাত্র অবলম্বন জমি তারা ক্রমবধর্মান হারে খুঁইয়ে চলেছে।
যতোই তারা ভূমি হারাচ্ছে ততোই তাদের নৃ-অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
ভূমি হতে বেদখলের বিভিন্ন প্রক্রিয়া:
ক.বাঁধ নির্মাণ
খ.বাঙালী বসতিস্থাপনকারীদের ব্যাপক হারে আগমন
গ. অাদিবাসী অধ্যূষিত এলাকায় বাঙালী বসতি স্থাপনের প্রভাব
ঘ.বেআইনী বসতিস্থাপন
ঙ.ভূমি অধিগ্রহন
চ.সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা
ছ.'বনায়ন' ও অন্যান্য উন্নয়ন কমর্সূচী
জ.সামাজিক বনায়ন
ঝ.উচ্চভূমি বন্দোবস্তকরণ প্রকল্প
ঞ.গুচ্ছগ্রাম,পুনবার্সন এবং স্থানান্তর
ট.অর্পিত সম্পত্তি আইন
ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ ও ফলাফল
সংশ্লিষ্ট আইন ও প্রতিকার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।