আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
(+18)
দেখতে দেখতে আমার চোখ আর আমারে দেখে না, খোলাসা করলে আয়না দেখার টাইম পাইনা। তো একদিন আমার এক কাজিন কোনো এক বিয়ার ছবি গুলো এনেছিলো আমাকে দেখাতে। আমি উল্টাইয়া উল্টাইয়া দেখিতে লাগিলাম, কিন্তু হঠাত একটা ছবি দেখিয়া বলিলাম," এই হাফ প্যান্ট পরা বান্দরটা কে?" বোইনে ফিক কইরা হাইসা কয়,"এইটা তুমি!জামা চেন্জ্ঞ করার সময় প্যান্ট খুইজা পাইতাছিলা না দেইখা অনুস্ঠানের ভিতর প্যান্ট খুজতাছিলা। " আমার শখ কইরা ছবি দেখা আর হইলো না।
আসলে টাইম কেমনে যায় আর পকেটের টাকা কেমনে শেষ হয় এইটাও বুঝি না। মাঝে মাঝে মনে হয় টাকা আগে শেষ হয় না সময় আগে যায়। এইজন্য কেউ যদি জিজ্ঞেস করে কোথায় দেখা করবো আমি সোজা বলি তুরাগ নদীর তীরে না হইলে মহাখালী ফ্লাইওভারের উপরে। কারন এর আশেপাশে খাওনের দামী খাওনের দোকান নাই। বিদেশ ফেরত এক কাজিন এক দিন বললো, "আমি ঘুরতে যাবো।
" আমি বলেছিলাম,"কেন তোরা আমার পেছনে মরিস?" কাজিন ছিলো নাছোরবান্দা, আর আমিও কম যাইনা। আমি ডেট পিছাইতে থাকলাম, এবং পিছাইতে পিছাইতে রোজার টাইম নিয়া আসলাম। নিয়া গেলাম ঘুরতে শিশুপার্কে তাও আবার দুপুর বেলা। তারপরের থিকা কাজিনের সাথে দেখা হয় না ২ বছর!
মাঝে মাঝে কিছু স্মৃতি খুব হাসায়, আর মাঝে মাঝে কিছূ স্মৃতি মনেই আসে না। আমার এক বন্ধু ছিলো যে আড্ডা চলাকালীন কখনো বসতো না।
অলওয়েজ খাড়াইয়া বা হাটার উপর আড্ডা দিতো। এমনকি তাস পিটানোর সময়ও মাঝে মাঝে দাড়াইয়া অথবা হাটা হাটি করতো। ডেটিংও করতো হাটনের উপর, আর সেইজন্যই হ্য়তো কেউ টেকে নাই ওর লগে। আমরা অবশ্য ২ বছর পর টের পাই ওর হাটার রহস্য কি? আর রহস্যটা ফাস করে ওর রুমমেট। ও যেটা বললো," ওর নাকি গ্যাস নির্গমনের ব্যামো আছে, এবং ওর গ্যাসে প্রচুর মিথেনের প্রাদুর্ভাব থাকায় আশেপাশে থাকা হাতিও কাইত।
এটার প্রভাব মিনিমাইজ করার জন্য ও হাটার উপর থাকে আর বাতাসে নাকি ব্যাপন ক্ষমতা বেশী থাকার কারনে মিথেনের কটু প্রভাব মিনিমাইজ হইয়া যায়। "
তো আমাদের মুরগী সাইফুলের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। একদিন আমরা ওর সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন হলে কারেন্ট ছিলো না। হঠাত দেখি ওর পিছনে ভূড় ভূড় করে আগুন বের হলো।
কি হলো দেখতে গিয়ে বুঝলাম, মুরগী সাইফুল জ্বলন্ত মোমবাতীটা ওর পশ্চাদ্দেশ বরাবর রেখে দেয় আর যেই না ও একটা বিশাল বায়ূ ছাড়ে ব্যাস! বাতাসে কি সুন্দর পোড়া পোড়া গন্ধ!
বাসায় এটা যেনো কেউ ট্রাই করবেন না, লুঙ্গী পুড়ে যেতে পারে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।