পৃথিবীর একমাত্র কার্টুনিস্ট, যে কিনা সামহোয়ার ইন ব্লগে ব্লগিং করে...
একটি নিখোজ সংবাদ। ডোডো নামের একটি পাখি পৃথিবীর মরিশাস দ্বীপ থেকে হারানো গেছে। তার পুরো নাম মরিশাস ডোডো। ভালো নাম রাফুস কুকুলাটাস
তার উচ্চতা ৩.২৮ ফুট। পরনে ছিল ধূসর নীল পালকের জামা, পায়ে হলুদ মোজা।
তার ডানা ছিল ছোট ছোট। তাছাড়াও বেচারার বুকের গড়ন ছিল ভারি, তাই সে একদমই উড়তে পারতো না।
মরিশাস দ্বীপে প্রথমে যায় পর্টুগিজরা ১৫০৭ সালে, তারপর যায় ডাচরা। ডোডো দেখতে যেমন তেমনই হোক, খেতে ছিল খুবই মজা। তাই সবাই তাদের ধরে ধরে খেতো।
এমনিতে ডোডো ছিল বেজায় সাহসী। সে মানুষকে একদমই ভয় পেতো না, বরং কাছে কাছে ঘুরতো। আর যেহেতু উড়তে পারতো না, তাই মানুষদেরও তাদের ধরতে সুবিধা হতো। অন্যদিকে মানুষরা মরিশাস দ্বীপে বহিরাগত প্রাণী, যেমন ভেড়া, শূকর, ইদুর, বানর নিয়ে আসে। ডোডোরা বাসা বানাতো মাটিতে, তাই ওই সব উঠকো প্রাণী ডোডোর বাসা পাড়িয়ে ভেঙে দিতো।
তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে, মানুষ মরিশাস দ্বীপে যাওয়ার আগেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ডোডার সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যায়। তার ওপর মানুষের অত্যাচারে বেচারা হারিয়ে যায়।
ডোডোকে শেষ দেখা যায় ১৬৬২ সালে, কারও কারও মতে ১৬৮১ সালে।
বেচারার কোনো ছবিও রাখা হয়নি। অক্সফোর্ডের মিউজিয়ামে ছিল একমাত্র মমি করে রাখা ডোডো, যা ১৭৫৫ সালে আগুনে নষ্ট হয়ে যায়, শুধু পা আর মাথা অক্ষত থাকে।
সেটাই এখন সযতেœ রাখা আছে। তা থেকে আর বিভিন্ন তথ্য ঘেটে পরে তৈরি করা হয় ডোডোর ছবি, মূর্তি। ছবিতে ডোডোকে বেশ মোটাসোটা লাগলেও মোটেই সে ও রকম নয়। বরং ফলমূল খেয়ে ডোডো চর্বি জমিয়ে রাখতো, শুকনো মৌসুমে এনার্জি পাওয়ার জন্য।
ডোডোর আরো চিহ্ন আছে অ্যালিস ইন দি ওয়ান্ডারল্যান্ডে।
আজ থেকে পচিশ মিলিয়ন বছর আগে জন্ম নেয় ডোডো। সহৃদয়বান কোনো ব্যক্তি ডোডোর খোজ পেলে ডোডোর নিকটাত্মীয় দক্ষিণ এশিয়ার কবুতরকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।